বুড়িগঙ্গা দূষণে বাড়ছে চর্মরোগ

বুড়িগঙ্গা দূষণে বাড়ছে চর্মরোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গা নদীর চারপাশে দুর্গন্ধময় পরিবেশ, ময়লা-আবর্জনার স্তূপে বন্ধ নদীর পানি প্রবাহ। রাজধানীর হাজারীবাগসহ নগরীর দূষিত তরল বর্জ্য জমছে মধ্যপ্রান্তে। সেই বিষাক্ত পানি দিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে কমিউনিটি সেন্টার এমনকি হাসপাতালেরও ময়লা কাপড় পরিষ্কার করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের পানিতে। এসব পানিতে কাপড় ধোয়ার কারণে বাড়ছে র্চম, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

ধোয়া কাপড়ের ধবধবে রূপ দেখে খুশি হবেন যে কোনো ব্যবহারকারী কিন্তু মাথায় বাঁধ ভেঙে পড়বে কোন পানিতে তা পরিষ্কার করা হচ্ছে দেখে। শার্ট-প্যান্টের সাথে কমিউনিটি সেন্টারের ময়লা কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের এই দূষিত পানিতে। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের কামরাঙ্গিরচর ব্রিজ বা লোহার ব্রিজের নিচে বছরজুড়েই চলে এমন কাপড় ধোয়া। ছবি তোলা দেখেই পালিয়ে যায় দুই ধোপা। সেখানকার স্থানীয় কয়েকজন লোক বলেন, পুরান ঢাকার হাসপাতালের বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন কাপড় ধোয়া হয় বুড়িগঙ্গার দূষিত পানিতে। গবেষকরা জানান, এই পানিতে ধোয়া কাপড় স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। এই প্রসঙ্গে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে খাবার টেবিলে, চেয়ারে যেসব কভার বিছানো হচ্ছে, সেগুলো মানুষের হাতে লাগছে। এসব থেকে রোগ-জীবাণু সরাসরি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। হাসপাতালের রোগীরা এমনই অসুস্থতা নিয়ে আসেন। তাদের বিছানা কাপড় যদি এই পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করা হয় তাহলে রোগী ভালো হওয়ার বদলে দ্রুত মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাবে। এলাকাবাসী জানায়, কম পয়সায় কাপড় ধোয়ার নামে এক শ্রেণির লন্ড্রি ব্যবসায়ী এই কাজে জড়িত।

দু’পাশ থেকে মাটি এবং আবর্জনা ফেলে বন্ধ করা হয়েছে বুড়িগঙ্গার পানি চলাচলের প্রবাহ। এখানে পানির মতো যা কিছু দেখাচ্ছে তা আসলে এই এলাকার কারখানার বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা থেকে আসা পানি। অথচ এই বিষের মধ্যেই ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে বাসাবাড়ি, হাসপাতাল ও কমিউনিটি সেন্টারের কাপড়-চোপড়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *