পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামসহ বিভিন্ন স্থানে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণের দৃশ্যে মুগ্ধ করে সবাইকে। কাবা প্রাঙ্গণের এসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। প্রবল বর্ষণ মুসল্লিদের মধ্যে তৈরি করে অন্য রকম অনুভূতি।
অনাবিল প্রশান্তি ছুঁয়েছে সবার অন্তর। বৃষ্টির সময় পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণের জন্য মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে চার হাজারের বেশি লোক কাজ করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে মুসল্লিরা তাওয়াফ ও নামাজ আদায় করছেন। কাবাঘর স্পর্শ করে বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে দেখছেন অনেকে। বৃষ্টিস্নাত কাবাঘরের দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছেন অনেকে।
গত ২ আগস্ট করোনাকালের দীর্ঘ দুই বছর পর পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে স্থাপিত সুরক্ষা বেষ্টনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে পবিত্র কাবাঘরের দেয়াল ও হাজরে আসওয়াদ বা বরকতময় কালো পাথর সরাসরি স্পর্শ করছেন মুসল্লিরা। ২০২০ সালের জুলাইয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে ও মুসল্লিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই বেষ্টনী দেওয়া হয়েছিল। এ সময় কাবাঘর ও আসওয়াদ বা কালো পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করতে পারেননি মুসল্লিরা।
গত ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর হজ পালন করেন ১০ লাখ মুসল্লি। ২০২১ সালে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে ১০ হাজার লোক হজ পালন করেন। মহামারির আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনসহ দৈনিক নামাজ আদায়ে সাময়িক সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।