পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্লাব আর্থিক সংকটে থাকায় বার্সেলোনার বেশ কিছু ফুটবলার বেতন কম নিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু লিওনেল মেসি-জেরার্ড পিকেরা বেতন কম নিতে নারাজ। ওদিকে সংবাদ মাধ্যমের খবর- বেতন কম না নিলে জানুয়ারিতেই দেওলিয়া হয়ে যাবে বার্সা।
ক্লাবের এই সংকটের মুহূর্তে বেতন কম নেওয়ার জন্য মেসিকে একপ্রকার ‘হুমকিই’ দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টনি ফ্রেক্সা। বার্তামেউ বার্সার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ায় মেসির ক্যাম্প ন্যুতেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। কিন্তু ফ্রেক্সা জানিয়েছেন, বার্সায় নতুন চুক্তি পেতে হলে মেসিসহ অন্যদের বেতন কম নিতেই হবে।
চলতি মৌসুম শুরুর আগে ক্লাব ছাড়তে মুখিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। কিন্তু বার্তামেউ তাকে ক্লাব ছাড়তে দেননি রিলিজ ক্লজের খড়গ ঝুলিয়ে। তবে আগামী মৌসুমে ফ্রিতে অন্য ক্লাবে যাওয়ার সব সুযোগ আছে মেসির সামনে। তাকে দলে নিতে মুখিয়ে আছে ম্যানসিটি। পিএসজি, ইন্টার মিলানও নিশ্চয় ফ্রিতে মেসিকে পাওয়ার লড়াইয়ে নামবে।
সেসবের তোয়াক্কা না করে ফ্রেক্সা বলেছেন, ‘আমরা মেসির সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলবো। বার্সেলোনার ইতিহাস সেরা ফুটবলারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো। মেসিসহ ক্লাবের সঙ্গে যারা চুক্তি নবায়ন করবে এবং নতুন করে দলে আসবে, তাদের সবাইকেই একটা শর্ত মানতে হবে। ক্লাবের আয় মারাত্মকভাবে ধসে গেছে। সবাইকে তাই (বেতন কম নেওয়ার) প্রস্তাব মানতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে নতুন কোন পথ।’
মেসিকে বার্সায় থাকতে রাজি করানো এবং কম বেতন নিতে রাজি করানোর একটা পদ্ধতির কথাও বলেছেন ফ্রেক্সা। বার্সার এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মতে, ‘মেসির মন অন্যদের মতো করে জয়া করা সম্ভব নয়। কিন্তু সচরাচর উপায়ে তাকে বোঝানোও কঠিন। তার চোখে চোখ রাখতে হবে। দুই পক্ষের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি নিয়ে কথা বলতে হবে।
ক্লাবের মেসির থেকে কী পাওয়ার আছে। মেসি এখনও কী অর্জন করতে পারে, তা নিয়ে আলাপ করতে হবে। আমার মতে, এখনও তার পায়ে অনেক অসাধারণ ফুটবল জমা আছে। বার্সার ইতিহাস ১২১ বছরের পুরনো। আমরা অবশ্যই ধাক্কা সামলে সামনে এগিয়ে যাবো।’
অনাস্থা ভোটে হেরে লজ্জার বিদায়ের ভয়ে বার্সার প্রেসিডেন্ট বার্তামেউ পদত্যাগ করেছেন। আগামী জানুয়ারির মধ্যে তাই হবে কাতালানদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ওই নির্বাচনে টনি ফ্রেক্সা ছাড়াও প্রার্থী হতে চান ভিক্টর ফন্ট, টনি নাদাল, লুকাস ফার্নান্দেজরা। বার্সার প্রেসিডেন্ট হয়ে তাদের মূল কাজ হবে মেসিকে ক্যাম্প ন্যুতে ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নেওয়া এবং বার্সার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা।
/এএ