বৈশ্বিক বায়ুবিদ্যুৎ সক্ষমতা পৌঁছাবে ২.৩৮ টেরাওয়াটে

বৈশ্বিক বায়ুবিদ্যুৎ সক্ষমতা পৌঁছাবে ২.৩৮ টেরাওয়াটে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ২০৩২ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রিড-সংযুক্ত বায়ুবিদ্যুৎ সক্ষমতা ২ দশমিক ৩৮ টেরাওয়াটে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। পশ্চিমা বাজার ও আফ্রিকায় চাহিদা বৃদ্ধি বায়ুবিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহকে ত্বরান্বিত করবে। এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

গ্লোবাল রিনিউয়েবল রিসার্চের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লুক লেওয়ানডস্কি বলেন, ‘জাতীয় জ্বালানি ও জলবায়ু পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপজুড়ে বায়ুবিদ্যুৎ সম্পর্কিত কার্যকলাপ বাড়ছে। আমরা আফ্রিকার মেগাপ্রকল্পগুলোর অগ্রগতিও অনুসরণ করছি, যা এ প্রবৃদ্ধিকে চালিত করছে। এটি সব বৈশ্বিক অফশোর বাজারে বিশেষ করে চীনে কিছু স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে।’

দেশগুলো নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্লান্ট তৈরি করছে। কারণ তারা আগামী দশকগুলোয় তাদের শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কাজ করছে। অন্যদিকে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যথাক্রমে ২০৬০ ও ২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে।

আফ্রিকাও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির মতে, মহাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা ২০২০ সালের ৫৪ গিগাওয়াট থেকে বেড়ে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫৩০ গিগাওয়াটের বেশি হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত আফ্রিকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের উন্নয়নে গতি আনতে ৪৫০ কোটি ডলার সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আবুধাবির নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদার, আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট, ইতিহাদ ক্রেডিট ইন্স্যুরেন্স ও দুবাইভিত্তিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি অ্যামেয়া পাওয়ার এ তহবিল সরবরাহ করবে। আফ্রিকার সরকার ও আফ্রিকার উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আফ্রিকা-৫০ নামের একটি বিনিয়োগ প্লাটফর্মও এ উদ্যোগে যোগ দিয়েছে।

উড ম্যাকেঞ্জির দাবি, উত্তর আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান বায়ুবিদ্যুৎ ক্ষমতা ২০৩২ সালের মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছবে। বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে তা পশ্চিম ইউরোপে বার্ষিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৩৩ মেগাওয়াটে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বায়ুবিদ্যুৎ ক্ষমতা বার্ষিক ২৪ দশমিক ১ শতাংশ হারে বেড়ে ২০৩২ সালের মধ্যে ৮৯ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছবে। এ সময়ের মধ্যে লাতিন আমেরিকায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *