২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৫ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি এখনো নিরাপদ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে গেলেও দেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট গতিশীল ও নিরাপদ রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে অত্যন্ত সজাগ ও সক্রিয়।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমি যশোরে ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) ২০২২’-এ যোগদান অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের কথা মাথায় রেখে বিমানবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ যখন দুর্ঘটনা, দুর্বিপাকে পড়ে, আমরা কিন্তু তাদের সহযোগিতা করি। আবার আমাদের দেশে যখন ঝড়, বন্যা বা কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটে বিমানবাহিনীর সদস্যসহ সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য জনগণের পাশে দাঁড়ান, জনগণের সেবা করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যেকোনো একটা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য এটা একান্তভাবে দরকার।

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে যশোরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর বিমানবাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানান বিমানবাহিনীর চৌকস সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি সেরা ক্যাডেটদের হাতে ‘সোর্ড অব অনার’, ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ ট্রফি’ এবং ‘কমান্ড্যান্টস ট্রফি’ তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ক্যাডেটদের ফ্লাইং ব্যাজ পরিয়ে দেন এবং বিভিন্ন সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননায় ভূষিত করেন।’

৮১ নম্বর বাফা কোর্সে সার্বিক প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ চৌকস সাফল্যের জন্য স্কোয়াড্রন সিনিয়র অফিসার খন্দকার ইমামুর রহমান সোর্ড অব অনার লাভ করেন। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ ফ্লাইফাস্ট এবং অ্যারোবেটিকস প্রদর্শন করে বিমান সেনারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু অপারেশন এবং প্রশিক্ষণই নয়, আমরা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সব সদস্যকে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নানামুখী কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ক্যাডেটদের জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক এবং বাংলাদেশ যেন আমাদের ক্যাডেটদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। তা ছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের বিমান সেনারা কাজ করে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলতে হয়। সে জন্য প্রশিক্ষণের কথা সব সময় মনে রাখতে হবে এবং প্রশিক্ষণের ওপরই সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশিক্ষণ উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে—এই কথা সব সময় মনে রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্বদরবারে সব সময় মাথা উঁচু করে চলব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রণীত জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ধরনের বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহলিংয়ের লক্ষ্যে আমরা নির্মাণ করেছি ‘বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার’। দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের সরকার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন করেছে।”

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com