২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৫ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ কিছু নয়। জীবনে সফল হতে হলে ব্যর্থতার অনেক পথও পাড়ি দিয়ে আসতে হয়। আপনি হয়তো নিজেকে প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তবু এক মুহূর্তের জন্য হলেও আপনার মনে ব্যর্থ হওয়ার ভয় কাজ করতে পারে। নিজের ভেতরে না দেখলেও, আশেপাশের অনেক ব্যর্থ মানুষের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারেন। ব্যর্থ হতে না চাইলে তাদের স্বভাবগুলো নিজের ভেতর থেকেও বাদ দিতে হবে। জেনে নিন ব্যর্থতার ছয় লক্ষণ। ঘুরে দাঁড়াতে চাইলে এই কাজগুলো বন্ধ করতে হবে আপনাকে-
ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হলো নিজেকে ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরা। কোনো ঝগড়া বা তর্কের সময় তার ভিকটিম হয় তারা। তারা ধরেই নেয় যে পুরো পৃথিবী এবং নিজের জীবনও তার বিপক্ষে। এর মানে এই নয় যে কেউ-ই এরকম পরিস্থিতির শিকার হয় না। তবে ব্যর্থ মানুষের প্রসঙ্গ এলে এই স্বভাব লক্ষ করা যায়। সফল ব্যক্তিরা নিজের কাজের দায়ভার বহন করে কিন্তু ব্যর্থরা সেটি করে না। তারা ঝগড়া করে, অন্যকে দোষারোপ করে এবং নিজেকে ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করে। এ ধরনের স্বভাব সফলতার পথে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।
ব্যর্থ ব্যক্তিরা সব সময়ই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। তারা সবকিছুই ‘অর্ধেক গ্লাস খালি’ মনোভাব নিয়ে দেখতে পায়। তারা সব সময় অভিযোগ জানাতে থাকে। যদি কেউ তাদের জন্য ভালো কিছু করেও থাকে তবে তার মধ্যেও দোষ খুঁজে বেড়ায়। এ ধরনের মানুষেরা চারপাশের সবকিছুর ভেতরেই নেতিবাচকতা খুঁজে বের করে।
জীবনে কোনো উদ্দেশ্য, লক্ষ্য বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকার মানেই হলো আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ। জীবনের একটি লক্ষ্য খুঁজে বের করুন। নিজেকে গুরুত্বহীন ভাববেন না। কাজের মাধ্যমেই মানুষ সফলতার শীর্ষে উঠে দাঁড়ায়। নিজেকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করুন। একটি সুন্দর জীবন কাটানোর মতো যোগ্যতা আপনারও রয়েছে। নিজের ভেতরে এই বিশ্বাসটুকু রাখুন।
যদি আপনি নিজের ছাড়া অন্য কারও দিকে খেয়াল না করেন, অন্যের ভালো-মন্দ চিন্তা না করেন, কেবল নিজেকে নিয়েই মগ্ন থাকেন এবং আপনার সবকিছু শুধু ‘আমি ও আমার’ এর মধ্যেই আটকে যায় তবে বুঝে নেবেন আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ। ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম লক্ষণ এটি। সফল মানুষেরা কখনো শুধু নিজের জন্য বাঁচে না।
সত্যিকারের ব্যর্থ যারা, নিজের সঙ্গে ভুল কিছু ঘটলেও তারা বুঝতে পারে না। তারা নিজের পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারেন না এমনকী তাদের নিজস্ব কোনো দৃষ্টিভঙ্গীও থাকে না। তাদের ভুলভাল কাজ বা সিদ্ধান্তের কারণে আশেপাশের মানুষেরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাও তারা জানতে পারে না। যতক্ষণে বুঝতে পারে ততক্ষণে হয়তো অন্যদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
ব্যর্থরা এমন একটি ভান করে যেন তারা সবকিছু জানে। তারা কেবল নিজের কথাগুলোই বলতে চায়, অন্যরা কী বলতে চায় তা কখনো শুনতে চায় না। তারা বেশিরভাগ সময়েই উটপাখির মতো আচরণ করে অর্থাৎ নিজের গা বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মাথা গুঁজে থাকে এবং এর মধ্যে কোনো ভুলও খুঁজে পায় না।