পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফোনে কথা বলা বা গান শোনার জন্য অনেকেই ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। কয়েক বছর আগেও এত ব্যাপকভাবে এগুলোর ব্যবহার হতো না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লুটুথ ইয়ারফোন-হেডফোন ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ব্লুটুথ থেকে রেডিয়ো ফ্রিক্যুয়েন্সি নির্গত হয়। ২.৪ গিগাহার্টেজে এই রেডিও ফ্রিক্যুয়েন্সি কাজ করে।
ব্লুটুথ থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়। এই রেডিয়েশন দুই ধরনের। আয়োনাইজিং এবং ননআয়োনাইজিং। ব্লুটুথ থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, সেটি ননআয়োনাইজিং। এ ধরনের রেডিয়েশন ক্যানসারসহ নানা ধরনের সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবু অনেকের দাবি, ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনের কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে না। কারণ এই যন্ত্র থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই কম। কথাটি সত্যি।
কিন্তু হালে বিজ্ঞানীরা অন্য একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সেটি হলো ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’। কী এই ‘এসএআর’? রেডিশনের কতটা শরীরে ঢুকছে তার মাত্রা এটি। ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনে রেডিয়েশনের মাত্রা খুব কম হলেও এগুলো শরীরের, বিশেষ করে মাথার এত কাছে থাকে যে, ‘এসএআর’-এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এবং সেটিই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
সম্প্র্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জন ওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের গবেষক-চিকিৎসক সন্তোষ কেশরি ‘হেল্থলাইন’ নামক জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে ক্যানসারসহ অন্য অসুখের আশঙ্কা বেড়েছে।