ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক : প্রাধান্য পাবে পানিবণ্টন ও সীমান্ত হত্যা

ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক : প্রাধান্য পাবে পানিবণ্টন ও সীমান্ত হত্যা

ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক

 প্রাধান্য পাবে পানিবণ্টন ও সীমান্ত হত্যা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :  নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক হবে শুক্রবার। বৈঠকে পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, যোগাযোগ ও বাণিজ্যের মতো দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো প্রাধান্য পাবে। এছাড়া বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে দুপক্ষের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৈঠকে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। এতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বৈঠককালে উভয় পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের এজেন্ডা নির্ধারণে আলোচনা করবেন। আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্ধারিত ঢাকা সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় মাসুদ বিন মোমেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় সকল ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব। আমরা যৌথ ঘোষণাও অনুসরণ করব, যা গত মাসে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে ঘোষিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে।’

পানি বণ্টন ইস্যুর ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক খবর শুনতে চায়। তিস্তা ইস্যুর সম্পর্কে এখন ভারতই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা অবশ্যই এই ইস্যুও সমাধান চাই। আমরা জানি ভারতের বর্তমান সরকার ও রাজ্য সরকার এখনো তিস্তার ব্যাপানে সম্পূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি।’

গত ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা পানিবণ্টন নিয়ে শিগগিরই একটি অন্তবর্তী চুক্তিতে স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন। ২০১১ সালে মোদি এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করার পর এ ব্যাপারে উভয় দেশ সরকার মতৈক্যে পৌঁছায়।

বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছয়টি যৌথ নদী— মানু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বন্টনের ওপর অন্তবর্তী চুক্তির কাঠামোর আশু প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এফওসি’র পর বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হবে। এই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (এফওসি) আসন্ন সচিব পর্যায়ের বৈঠক ও ঢাকায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়েও আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস ট্রেইনিং একাডেমিতে বক্তব্য রাখবেন এবং দিল্লিভিত্তিক রাষ্ট্রদূতগণের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফিরবেন তিনি।

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *