ভারত স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস, অন্তরালে মুজাহিদ আকাবির

ভারত স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস, অন্তরালে মুজাহিদ আকাবির

আরমিন খাতুন : (কোলকাতা):  আমাদের মধ্যে অথবা অভারতীয়দের মধ্যে যদি কেউ ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে চান আর যদি তাঁকে ভারতীয় সরকারী পাঠ্যপুস্তক পড়তে দেওয়া হয় তা হলে তাঁরা দেখবেন ‘বঙ্গভঙ্গ’ আন্দোলনে সমস্ত বিপ্লবীই প্রায় হিন্দু, মুসলমান জাতি যেন নীরব। আর ওই সময় থেকে একেবারে স্বাধীনতা প্রাপ্তির তারিখ পর্যন্ত সমস্ত বিপ্লবই যেন হিন্দুদের দ্বারাই সংঘটিত। সেখানেও যেন মুসলমান জাতি নীরব। শুধু সংখ্যার আধিক্য দেখিয়ে এবং সাম্প্রদায়িকতার কোন্দল কোলাহলে অমুসলমানদের যেন বিব্রত করেছে মুসলমান এবং হিন্দুদের সঙ্গে লড়াই ও ইংরেজদের সঙ্গে আঁতাত করে আদায় করেছে দু’টুকরো জায়গা।যেটার নাম ছিল পাকিস্তান। এক টুকরো পূর্ব পাকিস্তান আর বড় টুকরোটা পশ্চিম পাকিস্তান। অবশ্য ইতিহাসের চাকা আরও ঘুরে পূর্ব পাকিস্তান এখন হয়েছে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

কিন্তু প্রকৃত সত্য এটাই যে, স্বাধীনতার প্রথম পরিকল্পনা ও প্রকাশ মুসলমানদের দ্বারাই সংঘটিত এবং প্রথম ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনও প্রধানত মুসলমানদের দ্বারাতেই পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু অমুসলমান বা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের বা তদানীন্তন অধিকাংশ হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের বিরোধিতা অথবা অসহযোগিতার কারনে তা ব্যার্থ হতে বাধ্য হয়। তাতে ভারতীয় মুসলমানদের ক্ষতি হয় সীমাহীন ভাবে।

যেমন ১৮৫৭ সালের মহা বিপ্লবকে কার্ল মার্কস ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলেছেন, এ কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু অনেকেই জানি না, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রধান রূপকার ছিলেন সিপাহী বিপ্লবের একশত বছরেরও অধিককাল আগে উত্তর ভারতে জন্ম নেওয়া এক ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ মাওলানা হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী র.। ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। উপমহাদেশে পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলনের দুই নেতা মহাত্মা গান্ধী ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যদি হতে পারেন যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের ‘জাতির পিতা, তাহলে হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহকে র. বলা যায়; একটি প্রকৃত স্বাধীন ও শ্রেণী- শোষণমুক্ত ভারতবর্ষের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই প্রথম চিন্তানায়ক যিনি ইংরেজকে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া জরুরী মনে করে সংগঠনের বীজ ফেলে গেছেন। তাঁর পুত্র, ছাত্র এবং অগুনতি ভক্তরা তাঁর ওই সুপরিকল্পিত সংগঠনের সভ্য ছিলেন। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে বৃটিশ ও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের লেখা ইতিহাসে হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহর (র.) নাম একেবারেই অনুপস্থিত।

হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহর র. এর জ্যেষ্ঠপুত্র হযরত শাহ আবদুল আজীজ দেহলভী র. ইংরেজ শাসন বিরোধী এক ফতওয়া প্রচার করে জাতিকে পথের দিশা দেন এবং তামাম মুসলমানদেরকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ইসলামের জেহাদী প্রেরণায় উদ্বুুদ্ধ হবার আহ্বান জানান। উনার নামও একেবারেই চেপে রাখা হয়েছে প্রচলিত ইতিহাসে।

সৈয়দ আহমদ বেরেলভী র. ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উপরোক্ত ওই সংগঠনেরই সভ্য ছিলেন। সৈয়দ আহমদ বেরেলভী র. সম্পর্কে ঐতিহাসিক রতন লাহিড়ী ‘ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস’ নামক প্রবন্ধে লিখেছেন। “যাঁর জীবনস্মৃতি প্রেরণা জুগিয়েছিলো যুগে যুগে এই দেশের মহাবিপ্লবীদের। যাঁর জীবনাদর্শ, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের আওতার বাইরে থেকে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদকে আক্রমণ করা, স্বাধীন সরকার গঠন করা, আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে দেশের মধ্যে থেকেও সাম্রাজ্যবাদকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করা- পথ দেখিয়েছিল পরবর্তীকালের মহেন্দ্রপ্রতাপ, বরকতুল্লাহ, এম.এন.রায়, রাসবিহারী এমনকি নেতাজীকেও। কে এই মহাবিপ্লবী, যাঁর আদর্শে উদ্বোধিত হয়ে সহস্র সহস্র মানুষ প্রাণ দিয়েছিল ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে। শত সহস্র মানুষ বরণ করেছিল দীপান্তর, সশ্রম কারাদণ্ড, কঠোর যন্ত্রণাময় মৃত্যু। কে উনি! এই মহাবিদ্রোহীর নাম হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ বেরেলভী র.।” (ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস, রতন লাহিড়ী, (পৃঃ.৭-৯)।

অথচ আশ্চর্যজনকভাবে বৃটিশ ও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের লেখা ইতিহাসে সৈয়দ আহমদ বেরেলভী র. এর নাম অনেকটাই অনুপস্থিত। থাকলেও তা নিষ্প্রভ। অথচ হযরত সৈয়দ আহমদ র. এই দেশ রক্ষার জন্য সংগ্রামে দেশবাসীকে শেষ উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন তিনি তাঁর রক্তমাখা কাঁচা কাটা মাথা।

হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজীরে মক্কী র. থেকে গাঙ্গুর রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী র. মাওলানা কাসেম নানতুবী র. হাজী ইমদাদুল্লাহ এবং এই মাওলানা ও তাঁদের অনুগামীরা ওই অঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে ইংরেজদেরকে হটিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেখানে দেশীয় শাসনতন্ত্রও চালু করেছিলেন। সাহারানপুরে বিপ্লবী দল যে কমিটি গঠন করেছিলেন তার প্রধান উপদেষ্টা হন হাজী ইমদাদুল্লাহ এবং মাওলানা কাসেম হন সেনাপতি আর রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী র. হন প্রধান বিচারপতি। এটা সেই সময়ের ঘটনা যখন তার কিছু আগে পরে ফাঁসী হয়েছে কমপক্ষে সাতশো মাওলানা-মুফতী সাহেবের। আর শুধু ফাঁসিতে কম করে আঠাশ হাজার সাধারণ মুসলমানকে শহীদ হতে হয়েছে। আর কতো হাজার হাজার মুসলমান যে নিখোঁজ বা জেলে প্রহৃত হয়ে শহীদ হওয়া অথবা গুলি খেয়ে শহীদ হয়েছেন তার কোনো হিসেব নেই। (হায়াতে মাদানী ও আযাদী আন্দোলনে আলেম সমাজ, (পৃঃ.৪১১)

এরকমই আরেক ভারতরত্নের নাম আল্লামা ফজলে হক খয়রাবাদী র.। অযোধ্যার খয়রাবাদে ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে তার জন্ম। তিনি ভারতের শ্রেষ্ঠতর একজন আলেম, বিখ্যাত সাহিত্যিক, কবি, ঐতিহাসিক। তিনিও ১৮৫৭’র মহা বিপ্লবের একজন প্রত্যক্ষ সংগ্রামী। ভারতকে স্বাধীন করতে গিয়ে মাওলানা ফজলে হককে বন্দি হতে হয়। বিচারের নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তে তাঁর সমস্ত সম্পদ সম্পত্তি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে এবং পৃথিবীর কুখ্যাত আন্দামান জেলের ছোট্ট কুঠরিতে প্রবেশ করায়। সেখানেই হযরত খায়রাবাদীকে (র.) বাকী জীবনটা কাটাতে হয়েছিল। এখানে তিনি তাঁর কাফনের কাপরের উপর লিখেছিলেন এক জগৎ বিখ্যাত গ্রন্থ “আসসাওরাতুল হিন্দিয়া”। ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের যুদ্ধ করা নামাজ-রোজার মতো জরুরী বলে তিনি ফতোয়া দিয়েছিলেন। (এই মহান বিপ্লবীর সমগ্র জীবনী জানতে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান র. অনুদিত “আযাদী আন্দোলন-১৮৫৭” সংগ্রহ করে পড়তে পারেন)।

আরেক মহা জ্যোতিষ্ক শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান র.। নেতাজীর অনেক আগে প্রথম মহাযুদ্ধের সময় মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেশের স্বাধীনতার জন্য তুর্কির সাহায্যলাভের আশায় আরব রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু ষরযন্ত্র ফাঁস হয়ে গেল। তার ফলে মাওলানাকে একটা দীর্ঘ সময় মাল্টার কারাগারে বন্দী করে রাখে ব্রিটিশরা। রেশমি রুমাল খ্যাত মাওলানা উবায়দুল্লাহ সিন্ধী র. উনারই শিয্য ছিলেন।

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী র.। জন্ম ১৮৭৯ সালে উত্তর প্রদেশের উন্নাও তে। বৃটিশ বিরোধি আন্দোলনে তার অবদান অপরিসীম। তাঁর শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসান র. যখন দন্ডিত হয়ে মাল্টা দ্বীপে নির্বাসিত হলেন তখন হযরত হুসাইন আহমেদ মাদানি র. তাঁর দেখাশোনার জন্য স্বেচ্ছায় তার সাথে যান। তিনি তিন বছরের জন্য কারারুদ্ধ ছিলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের এই সব মহান নেতাদের যে গুরুত্ব ও সন্মান দেওয়া উচিত ছিল, সেটা প্রচলিত ইতিহাসে দেওয়া হয়নি। অথচ ভারতের স্বাধীনতায় মুসলমানদের অবদান অনস্বীকার্য। শাহ ইসমাইল শহীদ, বেলায়েত আলী, এনায়েত আলী, মাওলানা লিয়াকত আলি, মাওলানা আলাউদ্দিন(দুদু মিঞা) সৈয়দ আহমাদুল্লাহ, খাঁন বাহাদুর খান, মাওলানা শরিয়তুল্লাহ থেকে মাওলানা সৈয়দ নিসার আলি(তিতুমীর) আসফাকুল্লাহ এরকম হাজার হাজার ইসলামী ব্যক্তিত্ব ইংরেজ বিরোধী জিহাদের অনন্য সিপাহীসালার ছিলেন, এদের মধ্যে অনেকেই দেশের জন্য প্রান বিসর্জন দিয়েছিলেন।

ঠিক এরকম ভাবেই ফজলুল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, ডক্টর মোখতার আহমদ আনসারী, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, স্যার আবদুর রহীম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, মাওলানা হাসরত মোহানী, মাওলানা মাযহারুল হক বাঙ্গালী, মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, মৌলবী তমিজুদ্দিন খান, ব্যরিস্টার আব্দুর রসুল, মৌলবী মুজিবুর রহমান, এদের সবাইতো ছিলেন জাতীয়তাবাদী নেতা। কিন্তু আজ এদের অনেকেরই নাম একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছে। কারো বা থাকলেও তা একেবারেই নিষ্প্রভ।

মুসলমানরা এই দেশকে স্বাধীন করতে প্রাণপণ সংগ্রাম করেছে। হাজার হাজার নয় কয়েক লক্ষ মুসলমান এই দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। দেশের জন্য উৎসর্গ করেছে নিজেদের অর্থ নিজেদের সম্পদ নিজেদের মেধা, মুসলমানদের সেই মহান ত্যাগের বিনিময়েই স্বাধীন হয়েছে ভারত।

একসময় মুসলমান জাতি শাসক হিসেবে গণ্য ছিল। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই বিখ্যাত মুসলমান জাতি পৌনে এক হাজার বছর ভারতবর্ষে বিজয়ী জাতি হিসেবে বাস করেছে। অতএব তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ও মর্যাদা ভারতের প্রত্যেক জাতি ও সম্প্রদায়ের চেয়ে সর্বোন্নত বা বেশি ছিল তাতে এতটুকু সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কিন্তু কিভাবে মেরুদণ্ডহীন দরিদ্র জাতিতে পরিণত হল এই ভারতীয় মুসলমানেরা, কিভাবে মর্যাদাহীন অশিক্ষিত ও অনুন্নত জাতিতে পরিণত হল এই মুসলমানরা তা জানতে চাইলে আজ জাতিধর্ম নির্বিশেষে তথাকথিত শিক্ষিতদের বলতে শোনা যায় ”মুসলমান জাতি পিছিয়ে গেছে নাকি উলামাদের ফতোয়া অনুযায়ী ইংরেজি শেখা হারাম করার জন্য”। কিন্তু এ তথ্য পুরোপুরি অসত্য। এবং এটা কুপরিকল্পিত চক্রান্ত।

মুসলমানেরাই যে প্রকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তা বহু ঐতিহাসিকরাই স্বীকার করেছেন। সত্যেন সেন লিখেছেন, “বৃটিশ সরকার মুসলমানদের বিশ্বাসীর চক্ষে দেখিত না। রাজত্ব হারাইয়া মুসলমানগনই প্রথমে বৃটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাইছিল।” (দ্রষ্টব্যঃ- সত্যেন সেন, পনেরোই আগস্ট, পৃঃ.১০২ ।। চেপে রাখা ইতিহাস, পৃঃ.৪১৩)

অমলেন্দু দে “বাঙালী বুদ্ধিজীবী ও বিচ্ছিন্নতাবাদ” পুস্তকের ১৩১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “মনে রাখা প্রয়োজন, মুসলিম বিপ্লবীরাই সর্বপ্রথম বিস্তীর্ন অঞ্চলে সংঘবদ্ধভাবে ভারতবর্ষ হতে ইংরেজ বিতাড়নের জন্য দীর্ঘকাল ব্যাপী এক সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়।

উইলিয়াম হান্টার “দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস্” এবং মিঃ হ্যারিংটন টমসন The Revolution in India এবং Footwear policy’তে বলেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের মূল নায়ক হিন্দুরা নয় -এই বিদ্রোহ মুসলিমদেরই ষরযন্ত্রের ফল।” যাই হোক, মুসলমানেরা এই দেশের জন্য বহু ত্যাগ করেছেন অকাতরে প্রাণ বিসর্জন করেছেন।

কিন্তু আজ যেহেতু ক্ষমতা বিধর্মীদের হাতে তাই তারা তাদের নিজেদের মতো করে বিকৃত ইতিহাস রচনা করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অধ্যায়ে মুসলমানদের করেছে ব্রাত্য। আজ মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের যে সন্ত্রাস আসলে তা ইংরেজদের চক্রান্ত, ইংরেজ এবং তাদের মানসপুত্রেরা ইতিহাসে ভেজাল দিয়ে মুসলমানদেরকে বিপজ্জনক চরিত্রে চিহ্নিত করেছে। তত্ত্ব, তথ্য ও ইতিহাসের নামে কোটি কোটি মানুষের হাতে এমন বিকৃত মিথ্যা ইতিহাস পৌঁছেছে যার ফল স্বরূপ আগুনে পেট্রল ঢালার মতো সাম্প্রদায়িকতার গতি বেড়েই চলেছে।

সাম্প্রদায়িকতার এই ঘৃণ্য বীজের মূলোৎপাটন সম্ভবে এখন প্রয়োজন দেশ ও রাজ্য পরিচালনায় মাদানী র. ও আকাবীরদের চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতিত অনুসরণ। এমন সঙ্কট সময়ে এই জাতি যদি হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. ও আকাবীরদের প্রণীত চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে, তাহলে আশা করা যায় ভারতে ফিরে আসবে শান্তি, শৃঙ্খলা। মানুষে মানুষে পয়দা হবে ভালোবাসার মেলবন্ধন। দূর হবে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ।
————————————
তথ্যসূত্র:-
১. গোলাম আহমেদ মোর্তাজা সাহেবের বিভিন্ন বই ॥ যেমন, ‘চেপে রাখা ইতিহাস, এ এক অন্য ইতিহাস, বাজেয়াপ্ত ইতিহাস।
২. ‘আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭’ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান র. ॥ মদিনা পাবলিশার্স।
৩. ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা’ ॥ এম এস শহীদ।
৪. ‘আযাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা’ ॥ মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *