পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বশক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি রক্ষায় ইরান ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে এ অঙ্গীকার জানান তিনি। সোমবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খাতিবজাদেহ সাংবাদিকদের জানান, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিনিধি দল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে ভিয়েনায় অবস্থান করছে। ইরানের প্রতিনিধি দল একটি ফলপ্রসূ আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইরান সরকার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দল পাঠিয়ে তার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখিয়েছে। যদি অন্য পক্ষ একই ইচ্ছা দেখায়, তাহলে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সঠিক পথে থাকব।
ইরান এবং ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরিত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সোমবারের আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। সেখানে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিটি ফের কার্যকর করার ব্যাপারে আলোচকরা চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরান, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে তার প্রশাসন গঠনের অনুমতি দেওয়ার জন্য জুনে বন্ধ হওয়া ছয় দফা আলোচনা পুনরায় শুরু করবে।
আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে আলোচনায় অংশ নেবে। আলোচনা সফল হলে ইরানের ওপর থেকে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে এবং ইরানকে চুক্তির শর্তাবলীর সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্মতিতে ফিরে আসতে হবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে এসে ফের ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইরানের বিরুদ্ধে পারমানবিক চুক্তি লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে।