ভীষণ ফুরফুরে লিটন দাস
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শের-ই-বাংলার ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন শেষ করে বিসিবির একাডেমির দিকে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। তাকে অনুসরণ করে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা প্রান্ত বদলে শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের ক্লাব হাউজ থেকে চলে গেলেন ১নং গেইটস্থ প্লাজায়, যেখান থেকে একাডেমি ও জিমনেসিয়াম স্পষ্টই দেখা যায়। স্টেডিয়ামের আইরন গেইট পার হয়ে লিটন একাডেমির সামনে আসতেই আলোকচিত্রীরা হাঁক ছেড়ে ছবি তোলার জন্য পোঁজ দিতে বললেন। লিটনও বেশ প্রফুল্ল চিত্তেই তাদের সাড়া দিলেন।
খানিকক্ষণ থেমে ক্যামেরার লেন্সের দিকে ঘুরে দাঁড়ালেন, অমনি আলোকচিত্রীরাও মুহুর্মুহু ক্লিক নিতে শুরু করলেন। এরপর গন্তব্যের দিকে হাঁটা শুরু করলেন, তখনও ক্লিক ক্লিক ধ্বনীতে মুখরিত প্লাজা চত্বর। করোনাকালের সতর্কতার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক ছিল বিধায় তার চির চেনা সেই স্মিত হাসিটা দেখ গেল না বটে তবে তার শারিরীক ভাষায় একটি চনমনে ভাব ছিল স্পষ্ট। ভীষণ ফুরফুরে লিটন দাস।
অতিমারির ৫ মাসেরও বেশি সময় ঘরবন্দী কাটিয়ে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) অনুশীলনে যোগ দিলেন এই টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। বিসিবির আয়োজনে প্রথম তিন ধাপের ব্যক্তিগত অনুশীলনে তাকে দেখা না গেলেও চতুর্থ ধাপের তৃতীয় দিনে এসে যোগ দিলেন তিনি। উদ্দেশ্য বুঝতে কারোরই বাকি থাকার কথা নয়, সামনেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। সেখানে নিজেকে মেলে ধরতে চাই নিবিড় অনুশীলন। তাছাড়া লম্বা সময় ঘরে বসে থাকতে থাকতে শরীরেও তো মরীচা ধরে যাওয়ার কথা। তবে সত্যি বলতে তার ফিটনেস দেখে কিন্তু একবারও মনে হয়নি শরীরে মরীচা ধরেছে। বরং আগের চেয়েও আরো শুকিয়েছেন। ঠিক যেন ১৬ বছরের যুবক!
লিটন এদিন অনুশীলন শুরু করেছেন সকাল ১০টা ১০ মিনিট থেকে। প্রথমেই ৪৫ মিনিটের ব্যাটিং সেশনে ঘাম ঝরিয়েছেন। এরপর ৪০ মিনিট জিম সেশনে ঘাম ঝরিয়েছেন। শুধু রানিংটাই করেননি।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি ছাড়াও বিসিবির সূচি অনুযায়ী অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন; মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম অনিক।
আর বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান রানা, তাইজুল ইসলাম বোলিং ও ফিটনেস অনুশীলন করেছেন।