ভোক্তার পকেট লুটছে সিন্ডেকেট: ক্যাব

ভোক্তার পকেট লুটছে সিন্ডেকেট: ক্যাব

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন রমজানের বাজারকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্য ও ওষুধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তার পকেট কেটে আসছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। একেক সময় একেক সিন্ডিকেট ভোক্তার পকেট লুণ্ঠন করেছে।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

বর্তমানে দেশে কোনো ব্যবসা সিন্ডিকেটের বাইরে নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, একেক সময় একেক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ভোক্তাদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সব ভোক্তা, বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ভোক্তারা কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে। দিন দিন ভোক্তাদের নাভিশ্বাস বাড়ছেই। একদিকে সরকার বলছে দেশে খাদ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে, দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অন্যদিকে, পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এলসি সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের কথা বারবার বলে আসছেন। আর এর আড়ালে বাজার কারসাজি বা সিন্ডিকেট তৈরি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে তারা।

তিনি বলেন, ওষুধের বাজারও লাগামহীন। আমি একটা সময় ডাক্তার দেখাতাম এক হাজার টাকা দিয়ে। আর এখন ডাক্তার দেখাতে হয় আড়াই হাজার টাকা দিয়ে। ওষুধ কোম্পানিগুলোকেই মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে অনিয়ন্ত্রিত মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে ক্যাব সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করবে ঠিক আছে, তবে লাগামহীনভাবে করা যাবে না। সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে হবে।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক কবীর ভূইয়া বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সিন্ডিকেটকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ইতোপূর্বে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হলেও বাজারে থাকা ৯০ শতাংশের বেশি ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আবারো বেশকিছু ওষুধের দাম এক লাফে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঢাকায় এলাকা ভেদে ২৪ থেকে ১৪৭ শতাংশ পানির দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযৌক্তিক ব্যয়,পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটি সংশোধন, পানির গুণগত মান খারাপ ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক। পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন সেবাকে জনকল্যাণমুখী করার জন্য এ খাতকে সেবা হিসেবে সরকারকে আগে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা,ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ‘ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠনের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *