ভোট দিতে বাধ্য করা, বাধা দেয়া দুটোই অন্যায়

ভোট দিতে বাধ্য করা, বাধা দেয়া দুটোই অন্যায়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করা এবং আবার কেউ ভোট দিতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া দুটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কেউ ভোট না দিলেও তার ইচ্ছা। এ ক্ষেত্রে জোর করা যাবে না। আর কেউ দিতে চাইলে তাকে বাধা দেয়াও অন্যায়। বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করার নেই।

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যান। সরকার দাবি-দাওয়া না মানায় বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করেছে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার। কিন্তু তারা যদি না এসে থাকে, তা হলে সরকারের কিছু করার নেই।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বের কোন কোন দেশ আছে যেখানে ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের নিয়ম নেই, সে কারণে আমি বলব কেউ যদি ভোট না দিতে যায় তা হলে সেটা তার ইচ্ছা। কিন্তু কেউ যদি দিতে চায় তাকে বাধা দেয়াও অনুচিত, আইনের বরখেলাপ এবং এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। একই সাথে কাউকে যদি ভোট দিতে বাধ্য করা হয় মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছি এবং আগামী কয়েক দিনেও যাবো, জনসংযোগ করব, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করব, যাতে মানুষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বৈঠক প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, কয়েক দিন পরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাই জানি নির্বাচন একটি অধিকার, আমাদের সবার সাংবিধানিকভাবে আন্তর্জাতিক দলিল মোতাবেক নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সে অধিকারটি যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং দেশের একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম।
তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা বিশেষত নির্বাচন-পূর্ব সময়ে আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ের আচরণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল, আমরা অনেক সময় দেখেছি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাতে। কর্মীরা বিভিন্ন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়। সে ধরনের কিছু যেন না হয়ে থাকে সে জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী সময় আমাদের অভিজ্ঞতায় অতীতে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা অনেক ঘটেছিল এমন অবস্থা যেন কখনোই না হয় এবং সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার হলে যথাযথ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৌশল নির্ধারণ করে তারা এ কাজটি সম্পন্ন করবেন সে কথা আমরা বলেছি। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং এ জন্য আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি ও করব এবং আমরা বিশ্বাস করি এটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *