১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভোলা সদর উপজেলায় ইলিশা-১ নামের একটি নতুন গ্যাসকূপের তৃতীয় স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে বাপেক্স।
সোমবার (১৫ মে) কূপটিতে তিন হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে তৃতীয় স্তরের ডিএসটি পরীক্ষা চালানো হয়। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল প্রথম, ৭ মে দ্বিতীয় স্তরে ডিএসটি পরীক্ষা চালানো হয়।
দেশে জ্বালানির সংকট দূর করতে দেশিয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ভোলার ইলিশা-১ কূপ খননের উদ্যোগ নেয় বাপেক্স। গত ৯ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন করে ৩টি স্তরে ডিএসটি’র মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। গত ২৮ এপ্রিল কূপের মুখে আগুন দেওয়া হয়। ৭ মে দ্বিতীয় স্তরে ডিএসটি পরীক্ষা চালানো হয়।
এবার তৃতীয় স্তরে ডিএসটি পরীক্ষা চালানো হলো। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এই পরীক্ষা চালায়।
তারা আশা করছে, নতুন এই গ্যাসকূপ থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। কূপটিতে ২০০ বিসিএফ’র বেশি পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে।
বাপেক্স’র মহাব্যবস্থাপক (ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার সকালে তৃতীয় ডিএসটি সফলভাবে শুরু করা হয়েছে। মাটির নিচে গ্যাসের প্রেসারও বেশ ভালো রয়েছে। প্রথম দিন গ্যাসের প্রেসার রয়েছে ৩,৪০০ পিএসআই। এই পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন মোট ৭২ ঘন্টা চলবে। চুড়ান্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পর গ্যাস উত্তোলন কাজ শুরু হবে।
বাপেক্স সূত্র জানায়, ১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পর ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৯টি কূপ খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইলিশা-১ জেলার নবম গ্যাসক্ষেত্র। জেলায় মোট গ্যাস মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৭ টিসিএফ ঘনফুট।