ভোলায় পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষের জীবন

ভোলায় পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষের জীবন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দ্বীপ জেলা ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে মেঘনার পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মেঘনার পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব এলাকা প্লাবিত হয়। এর আগে গত সোমবার (২৬ জুলাই)যা ছিল বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, পূর্ণিমার প্রভাব এবং বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টর ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৫ম দিনের মতো তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। জোয়ারের পানিতে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি নিচু এলাকা ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

মেঘনার উপকূলবর্তী সদরের নাছির মাঝি, রাজাপুর, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চরযতিন, চরজ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা, মাঝেরচর, চরশাহজালাল, কচুয়াখালীর চরসহ ২০ চর প্লাবিত হয়েছে।

ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়া বলেন, বর্ষায় এলেই আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে কাঁচা রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্ষায় পানির কারণে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *