মজুত গ্যাসে চাহিদা মেটানো যাবে ১১ বছর

মজুত গ্যাসে চাহিদা মেটানো যাবে ১১ বছর

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মজুত গ্যাস রয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এই গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সোমবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ।

সে হিসাবে ২০২২ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাসে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তিনি জানান, নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে।

সরকারদলীয় এমপি এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের জুন নাগাদ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির কার্যক্রম শুরু হবে। ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লি. (এনআরএল) থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১৩১.৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান। জুন নাগাদ এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *