২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
মনের টান, ভালবাসার টানে ছুটে যেতে মনে চায় শোলাকিয়া ঈদগাহে। এদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয় সেখানে। আবহমানকাল থেকে শুনে আসছি শোলাকিয়ার কথা, ঈদের জামাতে লাখো লাখো মানুষের সমাবেশ যেখানে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে চলে শোলাকিয়ার পানে।
বেশ কয়েকবছর আগে কিশোরগঞ্জ শহরে গিয়েছিলাম। অবশ্য সেটা ঈদের দিন ছিলনা। ভিন্ন এক মৌসুম। কিন্তু শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ দেখার শখ হলো। কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্টান জামেয়া ইমদাদিয়ার মেহমানখানায় ছিল রাত্রীযাপন। ফজরের নামাজ প্রখ্যাত শহীদী মসজিদে আদায় করে ছুটে গেলাম শোলাকিয়া ঈদগাহ দেখার জন্য।
ঈদেরদিন না হলেও ময়দানে পৌঁছে বিশাল এক অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। সত্যি দৃষ্টিনন্দন ময়দান। চোখ জুড়ানো। আরেকটা বিষয় নজর কাড়লো, দর্শনার্থী আমি একা নই। বহু মানুষের আগমন শোলাকিয়া মাঠ দেখতে। তারাও শোলাকিয়া প্রেমে মাতোয়ারা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে এসেছে শোলাকিয়ার ঈদগাহ দেখার জন্য।
তাঁর যাদুমাখা কথাগুলো পিপাসার্ত হৃদয় সিক্ত করে। মানুষের মন-মগজে আমূল পরিবর্তন এনে দেয়
প্রায় অনেকটা সময় পার করেছিলাম সেখানে। স্থানী বহু মানুষের সাথে কথা হয়েছিল। সবচেয়ে বড় ভাল লেগেছিল, আমার শায়েখ ও মুর্শিদ, শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম, দারুল উলুম দেওবন্দের সূর্যসন্তান, ফেদায়ে মিল্লাত রহ.–এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সাহেবের ভূয়সী প্রশংসা শুনে। এলাকাতে তাঁর বিশাল জনপ্রিয়তা। সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসায় তিনি ধন্য। এই মহান ব্যক্তির ইমামতিতে শোলাকিয়াতে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সাহেব একজন বেমেছাল ব্যক্তিত্ব। যিনি বর্তমান ‘শাইখুল ইসলাম’ লকবে ভূষিত। তাঁর মুক্তঝরা বক্তৃতা শ্রোতাকে মোহিত করে রাখে। তাঁর কথায় যেন যাদু আছে। যতই তাঁর কথা শুনি ভাল লাগে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়। হাদীসে আছে, “ইন্না মিনাল বয়ানে লা সিহরা” —কিছু বক্তৃতা আছে যাদুর মতো কাজ করে। প্রিয় শায়েখের বক্তৃতাগুলো অনুরূপ।তাঁর যাদুমাখা কথাগুলো পিপাসার্ত হৃদয় সিক্ত করে। মানুষের মন-মগজে আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। এজন্য মনে চায় ছুটে চলি শোলাকিয়ার পানে।
আল্লাহ তায়ালা শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে নেক হায়াত দান করুন। আমিন।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট