ময়মনসিংহে বসছে দুই সেতু, খুলবে নতুন দিগন্ত

ময়মনসিংহে বসছে দুই সেতু, খুলবে নতুন দিগন্ত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বের ধীরগতির শহরের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ। এই বিভাগীয় শহরটি থেকে উত্তরে যাতায়াতে ভরসা ছিল একটি সেতু। বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর নগরীতে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ের মানুষের সহজ যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আরও দুটি সেতু নির্মিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি সেতু দুটির নির্মাণকাজ এবং বিভাগের ৪০টি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেতু দুটি নির্মিত হলে ময়মনসিংহ সদর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনার বিজয়পুর, শেরপুরের নাকুগাঁও, জামালপুরের ধানুয়া-কামালপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দরগুলোর সঙ্গে রাজধানীর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের সঙ্গে মূল সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।

একই দিন দেশের ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষার কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসির ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালীতে রেল সেতুর পাশে সড়ক সেতু নির্মাণ করা হবে। ১,১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুতে স্প্যান ২২টি ও পিলার (খুঁটি) ২১টি। সেতুর মূল অংশ হবে স্টিল আর্চ। ৬৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি সড়ক ওভারপাস, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি রেল ওভারপাস, দুই পাশে ধীরগতির যান চলাচলের লেনসহ ৬.২ কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। টোলপ্লাজা ছাড়াও বিশ্রামাগার, পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে প্রকল্পের আওতায়। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের জন্য ভবিষ্যতে যাতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে না হয়, সে জন্য সড়কের পাশে থাকবে ইউটিলিটি ডাক্ট। জমি অধিগ্রহণসহ ৩,২৬৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে স্টিল আর্চ সেতুটি নির্মাণে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সেতু নির্মাণে গত ২৫ সেপ্টেম্বর চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশেন লিমিটেড এবং বাংলাদেশের স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সওজ।

শেরপুর-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ শহর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের খাগডহরে ১,৪৭১ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হবে। ১,৮৪২ কোটি টাকার প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে। ফুটপাতসহ ১৩.৪ মিটার প্রশস্ত এই সেতুতে স্প্যান থাকবে ২৬টি। সেতু দুটির নিচে নৌ চলাচলে ১২.২ মিটার “ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স” রাখা হয়েছে।

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন, “সেতুগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হবে। মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *