মশার কামড় থেকে বাঁচান
সি ন থি য়া সু মি
মশার কামড়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিন নেই, রাত নেই প্রতিমুহূর্তেই চলছে এদের অত্যাচার। বাসতবাড়ি, মেস, খেলার মাঠসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব। মশার উৎপাত এতোটাই বেশি যে জানালা-দরজা খুলে রাখার উপায় নেই। ইদানীং এক জায়গায় বসলেই একসাথে অগণিত মশা ঘিরে ধরে। একটা মারছি তো আরেকটা কামড়াছে, তেমন অবস্থা। মশার অত্যাচারে বাদ যাছে না হাসপাতালগুলোও। কয়েল, স্প্রে বা মশা মারার ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হছে না। মশার অত্যাচারে ছাত্র-ছাত্রীরা সুষ্ঠুৃভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। মশার উপদ্রব যেভাবে বাড়ছে, তাতে রোগ-বালাই মহামারি আকার ধারণ করবে।
গত বছর আশঙ্কাজনকভাবে দেখা দিয়েছিল চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব। নগরের অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তিও। বলা যেতে পারে, সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত। অনেক জায়গায় খেয়াল করলে দেখা যায় নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশের ড্রেন ও নালার ময়লাগুলো তুলে সড়কে রাখায় এবং স্তূপীকৃত ময়লা-আবর্জনা ও যত্রতত্র রাখা ডাস্টবিনের কারণে পুরো নগরীকে উন্মুক্ত ভাগাড়ের নগর মনে হছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে চোখে পড়ছে না মশক নিধন অভিযান। যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে সেই হারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম চোখে না পড়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। মশা প্রাণিটি ক্ষুদ্র হলেও খুবই মারাত্মক। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, গোদ রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। তবে যদিও মশার উপদ্রব তীব্রমাত্রায়। সেগুলো হল কিউলেক্স নামক মশা। যদিও এ মশা কামড়ালে রোগের সম্ভাবনা থাকে না। কিš এখনতো কোনটি কিউলেক্স আর কোনটি এডিস, কোনটি স্ত্রী, কোনটি পুরুষ খালি চোখে আর বোঝার উপায় নেই। ফলে কোনটা এডিস মশা আর কোনটার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, কোনটার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর বা জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হবে তা বোঝার উপায় নেই। তাই অবশ্যই মশার কামড় থেকে যতদূর সম্ভব নিজেদের বিরত রাখা উচিত।
তাই আমাদের উচিৎ নিজেদের বাড়ির আশে পাশে থাকা আঙিনা, নর্দমা, ডোবা, ফুলের টব, ছাদের বাগান, ভবনের চৌবাচ্চা আর যদি ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন রাখা। পরিষ্কার রাখা। তবুও মশার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য সিটি করপোরেশনের তৎপরতা বাড়াতে হবে। শুধু বরাদ্দ নিয়ে বসে থাকলে হবে না, অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই মশকমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লেখক : শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ