১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ইজতেমায় হাজির হয়ে আমি আনন্দিত : মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আমাদের সারেতাজ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দামাত বারাকাতুহুম আয়োজিত এই ইজতেমায় হাজির হয়ে এবং আপনাদের মতো সৌভাগ্যবানদের কাতারে শামিল হতে পারায় আমি আনন্দিত—বলে মন্তব্য করেছেন দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফী।

তিনি বলেন, ‘মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দামাত বারাকাতুহুম প্রতিষ্ঠিত জামিআ ইকরা বাংলাদেশে আমার প্রতি বছর আসা হয় বলে আমি এই ইজতেমার কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনো হাজির হতে পারিনি। তাই এবার হাজির হয়েছি বলে ভালো লাগছে, আনন্দ কাজ করছে।’

তাড়াইলের বেলঙ্কার জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি আয়োজিত ইজতেমায় প্রথম দিন শুক্রবার (৪ মার্চ) রাত ১০টায় ইসলাহী বায়নে এসব কথা বলেন মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফী।

নিজেকে ইসলাহ (সংশোধন) করার যথাযথ চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব মন্তব্য করে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আমরা এখানে হাজির হয়েছি আল্লাহর ইবাদত করার জন্য, তাই সময় নষ্ট না করে আমরা সবসময় ইবাদত-বন্দেগী করার চেষ্টা করবো। শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকবো। সেই সাথে নিজেকে সংশোধন করা কিংবা দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে সৎকর্মে ব্যস্ত থাকবো।’

মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফী বলেন, নিজেকে ইসলাহ (সংশোধন) করার বড় একটি মাধ্যম হলো লজ্জাশীলতা। এর দ্বারা পৃথিবীতে শান্তি, নিরাপত্তা লাভ হয়। এ জন্য একজন লজ্জাশীল চরিত্রবান মুমিন বিপুল পরিবর্তন আনতে পারেন সমাজে। যিনি শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের শোভায় সুশোভিত করতে পারেন সমাজকে।

তিনি আরও বলেন, লজ্জাশীলতার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ গুণ অর্জন করতে হলে মুসলমান নারী-পুরুষ সবার পর্দার প্রতি বিশেষভাবে যত্মবান হতে হবে। আর অন্তরকে লজ্জাজনক বিষয় হতে বাঁচাতে খারাপ অশ্লীল বিষয় অন্তরে স্থান দেয়া যাবে না। এগুলোর প্রতি খুব যত্মবান হতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে লজ্জার গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

হাত, মুখ, কান, চোখ ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করার আহবান জানিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান বলেন, যে ব্যক্তি হারাম খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে থাকবেন এবং নিজের হাত, মুখ, কান, চোখ ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করবেন, আল্লাহ পাক তাকে দুনিয়া-আখেরাতে অগণিত নিয়ামতে ভূষিত করবেন। দুনিয়াতে দেবেন ইজ্জত-সম্মান আর আখেরাতে ক্ষমা করবেন এবং জান্নাত দেবেন।

তিনি আরও বলেন, নিজেকে ইসলাহ (সংশোধন) করে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত মুতাবিক ও সাহাবায়ে কেরামের দেখানো পথে চললে আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি পাবো, সম্মানীত হবো। আর আমাদের আসল জায়গা তো জান্নাত, জান্নাত থেকেই আমরা এসেছি। এজন্য আমরা আজ থেকেই সুন্নাত মুতাবিক চলার দৃঢ় মনোবল করি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।

মাহফিলে মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফীর বয়ান উর্দু থেকে ভাষান্তর করেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশ সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী চলমান এই ইসলাহী ইজতেমা আল্লামা মাসঊদের হৃদয়গ্রাহী মোনাজাতের মাধ্যমে আগামী রবিবার দ্বিপ্রহরে সমাপ্ত হবে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com