মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ তৈয়বের ইন্তেকালে আল্লামা মাসঊদের শোক
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া জিরি’র মুহতামিম মাওলানা শাহ মোহাম্মদ তৈয়বের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
সোমবার (২৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্ম ও মৃত্যু আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ তার রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। মাওলানা শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব আমাদের সময়কার খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন, দেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, উম্মহর দরদী ঈমানি রাহবার ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে তিনি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে (তাকমিল) সনদের স্বীকৃতির কাজে অবদান রেখেছেন। তাঁর এই অবদান কওমি উলামায়ে কেরাম কখনো ভুলবে না।’
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, মহান আল্লাহর দরবারে আমি তার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার-পরিজন, ছাত্র-মুরিদান এবং সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের শ্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি। দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে সবর করার তৌফিক দেন। দেশবরেণ্য দরদী এ আলেমের জন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করছি, তিনি যেন তার প্রিয় মুখলিস, আলেম বান্দাকে রহমতের চাদরে আবৃত করে চিরস্থায়ী জান্নাতের মেহমান করে মর্যাদাপূর্ণ স্থান দান করেন। আমিন।
এদিকে মাওলানা শাহ মুহাম্মদ তৈয়বের ইন্তেকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, হুইপ ও পটিয়ার এমপি শামসুল হক চৌধুরী, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম চরমোনাই পীরসহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংসদের আগামী অধিবেশনে হুজুরের ইন্তেকালে শোক প্রস্তাব আনা হবে বলেও টেলিফোনে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ, মাওলানা শাহ মুহাম্মদ তৈয়বের হাসপাতালে জায়নামাজে সেজদারত অবস্থায় (২৪ মে) রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাওলানা মুফতি নুরুল হক রহ.এর ইন্তেকালের পর থেকে প্রায় ৩৬ বছর ধরে মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, পাঁচ মেয়ে, নাতি-নাতনি, অসংখ্য ছাত্র, শাগরিবদ, মুরিদান, ভক্ত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চট্টগ্রামের নিজ কর্মস্থল জিরি মাদরাসার মাঠে হাটহাজারী মাদরাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর ইমামতিতে জামেয়া জিরির মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানা শেষে মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।