মাওলানা সাদের পরিবারকে নিজামুদ্দিন মারকাজের চাবি হস্তান্তরের নির্দেশ

মাওলানা সাদের পরিবারকে নিজামুদ্দিন মারকাজের চাবি হস্তান্তরের নির্দেশ

মাওলানা সাদের পরিবারকে নিজামুদ্দিন মারকাজের চাবি হস্তান্তরের নির্দেশ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মহামারী রূপ ধারণ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ থাকা তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য মারকাজের আবাসিক অংশ খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে মারকাজের আবাসিক অংশের চাবি মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধলভির পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য দিল্লি সরকারকে আদালত নির্দেশ প্রদান করেছে।

হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, নিজামুদ্দিন মারকাজের পক্ষ থেকে আদালতে করা আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানির পর এই রায় প্রদান করা হয়।

দিল্লির চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গুরমোহিনা কৌর শুনানিতে বলেন, ভারতের প্রতিটি নাগরিকই সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে তার সম্পদ ব্যবহারের অধিকার রাখে।

আদালত আরও জানায়, এই আদেশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারকাজের আবাসিক অংশের চাবি মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধলভির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মারকাজে কোন সমাবেশের আয়োজন করা যাবে না।

এছাড়া যে কোনো তদন্তে মালিকপক্ষ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার বিষয় আবেদনকারীদেরকে নির্দেশ দেয় দিল্লি আদালত।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে একটি জমায়েতকে কেন্দ্র করে তাবলিগ সদস্যরা ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের রোষানলে পড়েন।

অনুষ্ঠানের বিষয়টি প্রকাশিত হলে তাতে অংশ নেয়া ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকহাজার অনুসারীকে গ্রেফতার করে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের সদর দফতরটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

পর্যটন ভিসায় এসে ধর্মপ্রচার, করোনা সংক্রান্ত নিয়মবিধি লঙ্ঘনের মতো একাধিক অভিযোগে ৪০টি দেশের ২ হাজার ৫৫০ তাবলিগ জামাত সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

আগামী ১০ বছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

এর আগে করোনাকালে তাবলিগ জামাত সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের আচরণের কড়া সমালোচনা করেছে মুম্বাই হাইকোর্ট।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বিপর্যয় নেমে এলে, মহামারী পরিস্থিতি দেখা দিলে সরকার বলির পাঁঠা খোঁজার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে ওই বিদেশিদের বলির পাঁঠা করা হয়।’

/এএ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *