মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের অঙ্গীকার

মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের অঙ্গীকার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সীমান্তপথে মাদক পাচার ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। সেই সঙ্গে দেশ দুটি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবৈধ আর্থিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মাদকদ্রব্য ও সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সের অবৈধ পাচার রোধে অনুষ্ঠিত পঞ্চম দ্বিপক্ষীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ওষুধকে নেশা হিসেবে ব্যবহার করাকে সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্স বলে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভার আয়োজন করে মিয়ানমার।

সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরøমহাপরিচালক আবদুল ওয়াহাব ভূঞার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র®মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক ও শুল্ক বিভাগের ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। মিয়ানমারের পক্ষে সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন নেইংয়ের নেতৃত্বে ১৩ জন অংশ নিয়েছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) শেখ মুহাম্মদ খালেদুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় মিয়ানমারের সঙ্গে এ দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের আড়ালে চোরাকারবারিরা ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকেšক্ষতিগ্রস্ত করছে। দুই দেশের স্থল ও জলসীমা ভূকৌশলগত কারণে মাদক কারবারিদের কাছে অত্যন্তšগুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সভায় সীমান্তপথে মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্বারোপ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় দুই দেশের ভেতরে মাদকের বর্তমান পরিস্থিতি, মাদকদ্রব্যের উৎস, রুট, চোরাচালানের কৌশল, ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য, মাদক উৎপাদনের স্থান ও অবৈধ কারখানা ধ্বংস করা, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময়, স্থল ও জলসীমায়šযৌথ অভিযান পরিচালনা, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিসের কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ে মাদক নিয়ন্ত্রণেšকর্মরত উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সভা আয়োজন, প্রিকারসর কেমিক্যালসের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণšবিষয়ে আলোচনা হয়। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয় দেশের ভেতর ও সীমান্তেøমাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মিয়ানমারও গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মিয়ানমারের মাদক কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। আগামী বছর ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *