৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

মির্জাপুরে পানির চাপে সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বন্যার পানির প্রবল চাপে ২০ মিটার একটি পাকা সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন মহেড়া ও ফতেপুর এই দুই ইউনিয়নের অর্ধ লাখ মানুষ। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কড়াইল-হিলড়া আদাবাড়ি সড়কের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ ছাড়া, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বংশাই ও লৌহজং নদীর ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। সেইসঙ্গে রাস্তাঘাট, ফসলিজমি ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার মানুষ।

এদিকে, সেতু ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার (২৪ জুন) বিকালে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও এফবিআইসিসির পরিচালক এবং টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খান আহমেদ শুভ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থানে একটি ৩০ মিটার সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে এলাকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন।

শনিবার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর জানান, কড়াইল-আদাবাড়ি রোডের হিলড়া আদাবাড়ি নামক স্থানে ২০ মিটার সেতুটি গত ৩-৪ বছর ধরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই সেতুর ওপর দিয়ে মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের অর্ধ লাখ মানুষ যাতায়াত করে আসছিল। গত ১০-১২ দিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে পানির স্রোতে সেতুর দুই পাশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে বিপাকে পড়েন দুই ইউনিয়নবাসী। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেরা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান। সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেওয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানিয়েছেন।

খান আহমেদ শুভর সঙ্গে যোগাযোগ করা হেল তিনি বলেন, ‘বন্যার পানির প্রবল চাপে ব্রিজ ভেঙে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি উপজেলা প্রকৌশলীকে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার পর এখানে সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জনগণের চলাচলের জন্য আপাতত একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ার পর এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় এখানে পুনরায় সেতু নির্মাণ করা হবে।’

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com