পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিশরের রাজধানী কায়রোতে শুরু হয়েছে ৩০তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। দেশটির আওকাফবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কায়রোর ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এ কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এবারের বিচারক প্যানেলে একজন বাংলাদেশিও থাকছেন। খবর আল-আহরাম।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসির পৃষ্ঠপোষকতায় ২৩ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন আওকাফমন্ত্রী শায়খ ড. মুহাম্মদ মুখতার জামআহ। ছয় ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ৪১টি দেশ থেকে ৯৬ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন মো. মুতাসিম বিল্লাহ। প্রতিযোগিতায় অন্যতম বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। গত ২২ ডিসেম্বর মিশরের উদ্দেশে তারা রওয়ানা দেন।
জানা গেছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে। ছয় ক্যাটাগরির এ প্রতিযোগিতায় এবার পুরস্কার ধার্য করা হয়েছে ৮৫ লাখ মিশরীয় পাউন্ড।
প্রতিযোগিতার প্রথম ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সীরা। এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে তাজবিদ, তাফসির ও অর্থসহ পুরো কোরআন হিফজ করতে হবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী অনারবরা। এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে তাজবিদসহ পুরো কোরআন হিফজ থাকতে হবে।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন অনূর্ধ্ব ১২ বছর বয়সী শিশুরা। এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে শব্দের অর্থ বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ এবং সুরা ইউসুফের তাফসির করতে হবে।
চতুর্থ ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সী ইমাম, ওয়ায়েজ ও শিক্ষকরা। এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে তাজবিদ, তাফসির ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ থাকতে হবে।
পঞ্চম ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সীরা। এই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে অর্থ ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ থাকতে হবে।
ষষ্ঠতম ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে অর্থ ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন বাংলাদেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ তানভীর হোসাইন।