২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩০শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২২ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে বেসামরিকদের ওপর এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জান্তা বিরোধীরা বলছে- সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার অংশ এটি।
এ বিষয়ে মিয়ানমার জান্তার এক মুখপাত্র জানান, দেশটির দক্ষিণ শান রাজ্যের পিনলাউং অঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল সেনারা। তবে এতে কোনো বেসামরিক লোকের ক্ষতি হয়নি।
জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকারি বাহিনী নান নিন্ট গ্রামে প্রবেশ করলে কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং অন্য একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলা চালায়। যখন সন্ত্রাসীরা হিংস্রভাবে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, তখন কয়েকজন গ্রামবাসী নিহত ও আহত হন বলে জানান তিনি।
এদিকে কেএনডিএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সেনারা রোববার নান নিন্টে প্রবেশ করে একটি বৌদ্ধ বিহারে মৃতদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে।
কেএনডিএফ ও কারেন্নি রেভোলিউশন ইউনিয়নের (কেআরইউ) প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে মৃতদেহের শরীর ও মাথায় বুলেটের ক্ষত দেখা যায়। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বৌদ্ধ বিহারের দেয়ালে বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমার উইটনেসের যাচাইকৃত স্যাটেলাইট ইমেজ অনুসারে, নান নিন্টে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে।
সেখানকার প্রায় ১০০টি স্থাপনা পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে।