মুক্তচিন্তার সংজ্ঞাটা আবার পড়া উচিত

মুক্তচিন্তার সংজ্ঞাটা আবার পড়া উচিত

মুক্তচিন্তার সংজ্ঞাটা আবার পড়া উচিত

আবদুস সালাম :: নিজের অনলাইন শপের জন্য নাম চেয়ে গতকাল কেউ একজন ফেসবুকে একটা পোস্ট করলো। আমি তাকে তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি নাম সাজেস্ট করে কমেন্ট করলাম। অদ্যাক্ষর ইংরেজি ও শেষ দুই অক্ষর আরবী। আরবী শব্দের অর্থটাও দুই ব্রাকেটের মাঝখানে লিখে দিলাম যাতে কেউ বিব্রত না হয়।

কিছুক্ষণ পর তার রিপ্লাই-

‘ভাই বাংলা ইংরেজি জার্মান ফ্রেঞ্চ বা ফার্সি পর্যন্ত রাজি আছি। আরবী না’

আমি আশ্চর্য হলাম এবং তর্কে না জড়িয়ে সোজা চলে এলাম।

সেই লোকটি ছিলো প্রখ্যাত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট, গণজাগরণ মঞ্চের প্রাণোৎসর্গী কর্মী, শক্তিমান মুক্তমনা লেখক, বাকস্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার পক্ষের লড়াকু সৈনিক মাহমুদুল হক মুন্সি। শাহবাগ আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়া ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের এম্বুল্যান্স এ জুতা ছুড়ে মারার মত সাহসিকতার জন্য সে সালাম পাবার যোগ্য।

তবে মুক্তচিন্তার ধারকবাহক হয়ে নিছক একটি ভাষার প্রতি এমন বিদ্বেষ পোষণ করা কিছুতেই তার জন্য শোভনীয় হতে পারে না।

আরবী কোন ধর্মীয় ভাষা না, একটি ধর্মের ভাষা। ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ভাষার প্রতি ঝেড়ে দেওয়া কোন ভাবেই মুক্ত চিন্তার যুক্তি হতে পারে না।

তার নামের তিনটে শব্দই কিন্তু আরবী ভাষার। মুন্সি সাহেব কি কখনো নিজের নামকে না বলেছেন?

তার একটি গৌণ পরিচয়, সে নাস্তিক। হেফাযতি নাস্তিক না কিন্তু, আক্ষরিক অর্থেই নাস্তিক। নাস্তিক হয়েছে বলে তার কল্লা ফেলে দিতে হবে সে কথা আমি বলি না। তবে তার ও তাদের মুক্তচিন্তার এখনো যথেষ্ট অনুশীলন করা দরকার আছে বলে মনে করি।

লেখক : মাদরাসা শিক্ষক

লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *