মুহিব্বুল্লাহ কাফি ‘র তিন কবিতা
তুমি দেখে নিও
তুমি দেখে নিও- একদিন সব বাধা-বিপত্তি দূর করে, আকাশের কালো মেঘ কেটে নতুন সূর্য মারবে উঁকি,
হয়ত থাকব না আমি, যেদিন এ ধরণীর বুকে শত মানুষের মিছিলে দাঁড়িয়েও দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়তে থাকবে না ঝুঁকি।
হয়ত পৃথিবী এখন অশান্ত, গাইছে না পাখি গান,থমকে আছে আধুনিকতার মিথ্যে সব মায়াজাল,
তুমি দেখে নিও- সব আঁধার কাটাতে, অস্থির পৃথিবীকে সান্ত্বনার হাত বোলাতে অচিরেই আসবে সে কাল।
যে কাল ফের হাসাবে, হারিয়ে ফেলা কৃষাণ-মাঝির আকাশ রঙিন করা হাসি
কাঁদাবে আবার সুখের কান্না, মুছে দেবে খানিক সময়ের অসহায়ত্বের বেজে ওঠা বাঁশি।
প্রত্যাশা
দুনিয়াটা এবার সুস্থ হয়ে উঠুক!
আধুনিকতা ছোঁয়ার মানুষগুলো দুনিয়াটাকে ভালো করে বুঝুক।
দুনিয়াটা আবার সুস্থ হয়ে উঠুক!
ডিজিটালতার মানুষগুলোর মানুষ্যত্ব ফিরে আসুক।
দুনিয়াটা এবার সুস্থ হয়ে উঠুক!
আধুনিকতার আযাব থেকে মানুষের দিল আখেরাতের দিকে ঝুঁকুক।
দুনিয়াটা আরেকবার সুস্থ হয়ে উঠুক!
আদম সন্তানগুলো নিজ ভুলগুলো শুধরে আল্লাহ-রাসূলকে দিল থেকে মানুক।
দুনিয়াটা অচিরে সুস্থ হয়ে উঠবেই!
এ দৃঢ় প্রত্যাশায় সবার অন্তর আল্লাহর দিকে ঝুঁকবেই!
ইনশাআল্লাহ
অসহায় দুনিয়া
দুনিয়া এখন নিথর প্রায়
নেই কোনো আড়ম্বর,
কোথায় তার আত্মগর্ব
কোথায় তার নিজস্ব স্বর।
আত্মবিস্মৃত দুনিয়া এখন
খুঁজে ফিরে নিজ আত্মপরিচয়,
ভয়ে ভয়ে প্রতীক্ষার চোখ বুলায়,
হয়ত কেউ দেবে তাকে অভয়!
পৃথিবী এখন ধুমসে কাঁদছে
ফুঁপিয়ে কিংবা অগোচরে,
আদম সন্তান মরছে পালাক্রমে
কে সান্ত্বনার বাণী শোনাবে তারে!