পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল হেরাত প্রদেশে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ।
সিনিয়র এক তালেবান নেতার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাতারে অবস্থিত তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, হেরাত প্রদেশে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে লড়াই করছে উদ্ধারকর্মীরা। এখন পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে তাঁবু, চিকিৎসা এবং খাদ্য সামগ্রীর জরুরি প্রয়োজন জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং এনজিও সংস্থাগুলোকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন।
এ ছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল ওয়াহিদ রায়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান যে, ভূমিকম্প এবং শক্তিশালী আফটারশকের কারণে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। জরুরী সাহায্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ছয়টি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শত শত বেসামরিক লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
এদিকে স্থানীয় গভর্নর নুর আহমদ ইসলামজার একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, হেরাত প্রদেশে ভূমিকম্পের কারণে ১০ টিরও বেশি গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ফলে “বড় সংখ্যক” লোক মারা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি মানচিত্র দেখানো হয়েছে যে শনিবার এই অঞ্চলে পর পর সাতটি ভূমিকম্প হয়েছে। যার মধ্যে দুইটির মাত্রা ছিলো ৬.৩ এবং একটি ছিলো ৫.৯ মাত্রার।