নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, এবার শতভাগ আসন মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার আবেদনকারী থাকে, তা হলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে।
নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাদের সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপির জন্য এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীর সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ এবার ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না।
গতবার ৮৯ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এ ছাড়া গতবার কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে সে আসনগুলো সাধারণ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হতো।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন ও এসএমএস উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করা যাবে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। তবে ভর্তিতে আগের মতো এবারও স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে।
ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এর পর আরও একাধিক ধাপে ফল প্রকাশ ও মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।