মেয়েকে হত্যা করে থানায় জিডি করলেন পাষণ্ড বাবা

মেয়েকে হত্যা করে থানায় জিডি করলেন পাষণ্ড বাবা

মেয়েকে হত্যা করে থানায় জিডি করলেন পাষণ্ড বাবা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম (লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি) :: সামাজিক অবক্ষয়ের কত চিত্র আমাদের দেখতে হয়। শুনতে হয় কত অবুঝ শিশুর আর্ত চিৎকার। নিজের মেয়েকেই খুন করেছেন পাষণ্ড বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু। লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছর বয়সী শিশু ফারহানা আক্তার রাহিমাকে খুন করেছেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে ফয়েজ জবানবন্দি দেয়। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন রায়হান চৌধুরী।

সোমবার (১১ মে) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের নির্দেশনায় শিশু রাহিমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। শিশুটিকে তার বাবা ফয়েজ খুন করে লাশ লুকিয়ে রেখেছিল। আসামি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আসামি ফয়েজ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।

খুনের ঘটনায় সোমবার দুপুরে আদালতে আসামির দেয়া জবানবন্দির বিষয়ে পুলিশ জানায়, ফয়েজের সঙ্গে পাশের বাড়ির মতিনদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।সম্প্রতি বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়েও তাদের বিরোধ দেখা দেয়। এতে ফয়েজ নিজের মেয়েকে হত্যা করে মতিনদের মামলায় জড়ানোর ছক আঁকে।

গত ৫ মে শিশু রাহিমা বাড়ির উঠানে খেলছিল। এসময় সবার অজান্তে তাকে কোলে তুলে ফয়েজ বাড়ি থেকে দূরে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝোপের ভেতর লাশটি লুকিয়ে রাখেন। বাড়িতে ফিরে মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কোথাও না পেয়ে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় তিনি একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশসহ বাড়ির লোকজন বিভিন্নস্থানে খুঁজেও শিশুটিকে পায়নি।

এদিকে গত শুক্রবার (৮ মে) রাত ১২টার দিকে সবাই যখন ঘুমে তখন ঝোঁপের ভেতর থেকে ফয়েজ লাশটি উদ্ধার করে নিজবাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।

শনিবার (৯ মে) সকালে নিজেই থানা পুলিশকে অবহিত করেন, তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে টয়লেটের ট্যাংকিতে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *