২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

‘মোখা’য় মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা, কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, গত রোববার (১৫ মে) সুপার সাইক্লোনটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। মিয়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন দেশের উপকূলে প্রবেশ করে তখন এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই লোকেরা বু মা ও নিকটবর্তী খাউং ডোকে কর নামে দুটি গ্রামের বাসিন্দা ছিল। বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হওয়া দুটি গ্রামে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছে একটি বৌদ্ধ বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাশের আরেকটি গ্রামে ভবন ধসে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সিত্তের নিকটবর্তী সেই গ্রামের নাম বু মা।

ওই গ্রামের প্রধান কার্লো জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আবুল হোসেন (৬৬) নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ের কবর জিয়ারত করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে আবুল হোসেনের মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি অসুস্থ ছিলাম। এর জন্য নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারিনি। আমরা যখন নিরাপদ স্থানে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম, তখনই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।’ এক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিস মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর বদ্বীপের আশেপাশের জনবহুল এলাকা ধ্বংস করে দেয়। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেসে গিয়েছিলো।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com