মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন ক্ষতিকর নয়

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন ক্ষতিকর নয়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: বাংলাদেশের মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলো থেকে বের হওয়া ক্ষতিকর রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নির্ধারিত নিরাপত্তা মাত্রার চেয়ে অনেক কম বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি পরিচালিত জরিপে নয়টি জেলায় মোবাইল টেলিফোনের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিগন্যাল বহনকারী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের (ইএমএফ) রেডিয়েশন পরিমাপ করে বলা হয়েছে, ‘এতে পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি নেই।’

জরিপে আরেও বলা হয়েছে—ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, রংপুর, গাইবান্ধা, খুলনা ও যশোরের ৯৯টি স্থানে রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ গুণ কম।

ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন নন-আয়োনাইজিং রেডিয়েশন প্রোটেকশন, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের (ইএমএফ) সংস্পর্শের জন্য অনুমোদিত সীমা প্রতি বর্গমিটারে দুই দশমিক ১০৬ মেগাওয়াট।

তাই রেডিয়েশনের বর্তমান মাত্রা জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য হুমকি নয় বলে বিটিআরসির জরিপগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, সেলফোনগুলো মূলত রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের মাধ্যমে কাছাকাছি সেল টাওয়ারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি এফএম রেডিও তরঙ্গ ও মাইক্রোওয়েভের মধ্যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামে শক্তির একটি রূপ।

এফএম রেডিও তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, দৃশ্যমান আলো ও তাপের মতো এগুলো নন-আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের রূপ।

এর অর্থ তারা সরাসরি কোষের ভেতরে ডিএনএর ক্ষতি করে না। এর ফলে এক্স-রে, গামা রশ্মি ও অতিবেগুনী (ইউভি) রশ্মির মতো শক্তিশালী (আয়োনাইজিং) বিকিরণ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়।

মানবদেহে রেডিও তরঙ্গের কয়েকটি পরিচিত প্রভাবগুলো মধ্যে একটি হলো শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার খুব সামান্য বেড়ে যাওয়া। তবে এর যে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নেই তা নিশ্চিত করতে গবেষণা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *