ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :  তুচ্ছ ঘটনায় ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ৪০টি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দোষী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ৩০ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।  সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তরাঞ্চলীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুন হক শামীম একথা জানান।

তিনি আরও জানান, গেল ১৩ মে ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের সঙ্গে অপর একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে কমপক্ষে ৪০টি বাস ভাঙচুর ও শ্রমিকদের বেধড়ক মারধর করে। এতে উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় ও ত্রিশাল থানায় পৃথক তিনটি মামলাও করা হয়।

এছাড়া বাস ভাঙচুর ও শ্রমিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গত ১৫ মে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হলে বিক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ৩০ মে থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কোনো সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না।

এ সময় জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান, কোচ বিভাগের সম্পাদক বিকাশ রায়, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলামসহ মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ মে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক ও এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শহরের বাইপাস এলাকায় ও ত্রিশালে কমপক্ষে ৪০টি বাস ভাংচুর ও শ্রমিকদের মারধর করে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যপক ভাংচুর চালায়। এমনকি কৃষকের ধান ক্ষেত, কাঁচা ধান ও খর পুড়িয়ে ফেলে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর বাস ভাংচুর, শ্রমিক মারধর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা ও ত্রিশাল থানায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত ৪-৫শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে জেলা মোটর মালিক সমিতি, ত্রিশাল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিকরা।

_______________

patheo24,/105

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *