যত্নে থাকুক প্রিয় বই

যত্নে থাকুক প্রিয় বই

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আজ বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ইউনেস্কোর উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। শুধু পড়াই নয় নিজের ঘরে শেলফ জুড়ে পছন্দের বই সংগ্রহে রাখতে যারা ভালোবাসেন তারা সবসময়ই কেনেন প্রচুর বই।

কিন্তু এত বই সংগ্রহ করে যদি ঠিকঠাক যত্নই না নেওয়া হয় তাহলে টাকা গুলোই জলে ঢালা। বই যত্ন না করার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বই এলোমেলো থাকে, ধুলো জমে বা নষ্ট হয়ে যায়। চলুন জেনে নেই পছন্দের বইগুলো যত্নে রাখার কিছু উপায়:

বইপড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের কাছে অনেক বই তো আছে, কিন্তু গুছিয়ে রাখার জন্য শেলফ নেই। যার কারণে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এতে ঘর দেখতে যেমন অগোছালো লাগে, তেমনই বইয়েরও যত্ন হয় না। তাই বই ভালো রাখার জন্য সবার আগে একটি বুকশেলফ প্রয়োজন।

বই সংরক্ষণের বিষয়টি অনেকটা দামি পেইন্টিং সংরক্ষণের মতোই। কোন পরিবেশে বই রাখছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার বই ঠিক কতটুকু ভালো থাকবে। সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে এমন জায়গা, আবার একদম অন্ধকার জায়গাতেও বই না রেখে আলো বাতাসযুক্ত শুকনো স্থানেই রাখা উচিত। স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালের কাছেও কখনও বই রাখা উচিত নয়।

কারণ কাগজ খুব দ্রুত পানি শোষণ করে নেয়। এতে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই কড়া রোদ বা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব আছে এমন দুই জায়গা থেকেই বই দূরে রাখা ভালো। অনেকের বুকশেলফে কাঁচের দরজা থাকে। এতে বই ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেলেও পর্যাপ্ত বাতাসের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বুকশেলফ থেকে মাঝে মাঝে বই বের করে রোদে রাখতে হবে।

বই কেনার পর তাতে মলাট লাগিয়ে নিলে নতুন বই অনেকদিন ভালো থাকে। যে কোনো পেপার দিয়েই মলাট করা যায়। তবে বইয়ের প্রচ্ছদ যেন দেখা যায় সেজন্য ট্রান্সপারেন্ট পেপার ইউজ করা যায়। মলাট করার পর বই ধরার সময় হাত যেন নোংরা বা ভেজা না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

অনেকেই বই পড়ার মাঝে বিরতি দিয়ে পৃষ্ঠা ভাঁজ করে রাখেন অথবা পেপার ক্লিপ ইউজ করেন। দুটোই বইয়ের জন্য খারাপ। পেপার ক্লিপে জং ধরে পৃষ্ঠা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ভাঁজ করলে ভেঙে যেতে পারে। তাই বইয়ের জন্য কাগজের বুকমার্ক সবচেয়ে ভালো। চাইলে পালক, রেশমের ফিতা বা শার্টিনের কাপড়ও বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

বই কেনার পর তাতে মলাট লাগিয়ে নিলে নতুন বই অনেকদিন ভালো থাকে। যে কোনো পেপার দিয়েই মলাট করা যায়। তবে বইয়ের প্রচ্ছদ যেন দেখা যায় সেজন্য ট্রান্সপারেন্ট পেপার ইউজ করা যায়। মলাট করার পর বই ধরার সময় হাত যেন নোংরা বা ভেজা না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

অনেকেই বই পড়ার মাঝে বিরতি দিয়ে পৃষ্ঠা ভাঁজ করে রাখেন অথবা পেপার ক্লিপ ইউজ করেন। দুটোই বইয়ের জন্য খারাপ। পেপার ক্লিপে জং ধরে পৃষ্ঠা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ভাঁজ করলে ভেঙে যেতে পারে। তাই বইয়ের জন্য কাগজের বুকমার্ক সবচেয়ে ভালো। চাইলে পালক, রেশমের ফিতা বা শার্টিনের কাপড়ও বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ধার দিয়ে বই ফেরত পান না এমনটি প্রায়ই হয়। আবার ফেরত পেলেও দেখা যায় বইয়ের অবস্থা আগের মতো থাকে না। তাই যাকে বই ধার দিচ্ছেন তাকে অবশ্যই বইয়ের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন। আর দেয়ার সময় নাম ও তারিখ টুকে রাখুন। যেন সময়মতো ফেরত নেওয়া যায়। বই দিতে দেরি হলে নিজেই যোগাযোগ করুন।

বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে গেলে সাময়িকভাবে আঠা দিয়েই লাগিয়ে নেয়াটা সহজ মনে হয়। তবে লং টার্মের জন্য এটা উচিত নয়। এছাড়া আঠার সাথে পোকা আটকে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। অনেকে স্কচটেপ দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা বা মলাট ঠিক করার চেষ্টা করেন। সেটাও উচিত নয়। বইয়ের বাইন্ডিং ছুটে গেলে দক্ষ কারিগরের কাছে নিয়ে সেলাই করে নেওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *