যদি সচ্ছতা সৃষ্টি করে তোলা যায় তাহলে সম্ভাব্য অপপ্রচার ঢাকা পড়বে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

যদি সচ্ছতা সৃষ্টি করে তোলা যায় তাহলে সম্ভাব্য অপপ্রচার ঢাকা পড়বে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল ডিসি-এসপিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে দায়িত্ব তার মধ্যে একটি হচ্ছে যতদূর সম্ভব নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে দৃশ্যমান করে তোলা। দৃশ্যমান করে তুলে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করা। সচ্ছতা যদি সৃষ্টি করে তোলা যায় তাহলে সম্ভাব্য অপপ্রচারগুলো ঢাকা পড়ে যাবে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ডিসি-এসপিদের দুই দিন ব্যাপি ট্রেনিংয়ের উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘স্বচ্ছতা হচ্ছে এমন একটি জিনিস যেটি সত্যেরও হয় আবার মিথ্যা ও অনাচারের হয়। অর্থাৎ অনাচার হলে সচ্ছভাবে প্রকাশ পাবে আবার সদাচার হলেও সচ্ছভাবেই তা প্রকাশ পাবে। জাতীয় নির্বাচনের যে পক্রিয়া রয়েছে সেই পক্রিয়ার সঙ্গে স্থানীয় নির্বাচনের পক্রিয়া পুরোপুরি ভিন্ন। ইতিমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সারা দেশ মাতোয়ারা হয়ে রয়েছে।

এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিদিন বক্তব্য হচ্ছে। এমনকি এটা একটা গ্রোবাল ডাইমেনশন পেয়ে গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের নির্বাচনটা দেখতে আগ্রহী। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে পর্যবেক্ষকরাও আসবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল বার্তাটা হলো, আমরা কমিশন থেকে দেখতে চাই আপনারা এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন যে আপনাদের প্রজ্ঞা, শক্তি, মেধা ও জ্ঞান দিয়ে নির্বাচনটাকে সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করবেন। এই চেষ্টাটা কিভাবে করবেন জানিনা। কারণ ওই জ্ঞান আমার নেই কিন্তু আপনাদের আছে। আমাদের বার্তাটা হচ্ছে, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল করবেন। গতকালকেও আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।

উনিও চেয়েছেন নির্বাচনটা যাতে সুশৃঙ্খল হয়। সুশৃঙ্খল আমি করাতে পারবো না। এটা আপনাদেরকে করাতেই হবে।’
ডিসি-এসপিদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনটা অনুধাবন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ববোধ নিয়ে অনুধাবন করতে হবে ক্ষমতা বা শক্তি দিয়ে নয়। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি আপনাদের ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন হয় তখন ক্ষমতার শক্তিটা দেখাবেন। কিন্তু প্রথমে আপনারা দায়িত্ব দিয়ে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন নির্বাচনটা কি, নির্বাচন কেনো হয়, নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা কি? জনগণ ভোট দিবে কেনো। যদি গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র বুঝে থাকেন তাহলে এগুলোও বুঝবেন।’

সিইসি বলেন, গণতন্ত্রকে তার চেতনাগত অর্থে বাস্তবায়ন যদি আমরা না করতে পারি তাহলে জাতির সাথে আমাদের জন্য একটা ব্যর্থতা হবে। তাই আমি আশা করবো আপনারা আপনাদের দায়িত্ববুদ্ধি দিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের যুদ্ধ সফল করবেন। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সে জন্য এর গুরুত্ব অনুধাবন করে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মূল চাওয়াটা হচ্ছে, যারা ভোটার রয়েছেন তারা যেনো ভোট দিতে পারেন। এ জিনিসটা আমরা দেখতে চাচ্ছি। ভোটের দিন যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তবে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আমাদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা প্রতিহত করতে হবে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *