যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির খবরে বিস্মিত হননি জাতিসংঘ মহাসচিব

যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির খবরে বিস্মিত হননি জাতিসংঘ মহাসচিব

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখে রাখার খবরে মোটেও বিস্মিত হননি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস! যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া (৬ এপ্রিল) গোপন নথিতে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য ওঠে আসার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।খবর আনাদোলুর।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন দুজারিক অ্যান্তোনিও গুতেরেনের এ প্রতিক্রিয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। স্টেফেন দুজারিক বলেন, বিশ্ব সংস্থার প্রধান হিসেবে বিশ্বনের্তৃবৃন্দের সঙ্গে মহাসচিবের ফোনালাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যবসত: এতেও আড়ি পাতার খবর পাওয়া গেল।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া নথিগুলোর মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে পশ্চিমা গোষ্ঠীর বেশ কিছু স্পর্শকাতর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এবার জানা গেল, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ওপরও নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, রাশিয়ার বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে গুতেরেসকে তৎপর মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। নথিগুলোতে গুতেরেসের বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনে অপরাধ সংঘটনের জন্য’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। অপর একটি নথিতে গুতেরেস এবং তার ডেপুটির কথোপকথনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জাতিসংঘের মহাসচিবের অবস্থান ও বেশ কয়েকজন আফ্রিকার নেতার ওপর গুতেরেসের পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।

নথিগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট সমাধানে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্ততায় ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’র ওপর আলোকপাত করা হয়েছে । এতে বলা হয়েছে, চুক্তি অক্ষুণ্ন রাখতে গুতেরেস তৎপর ছিলেন। এমনকি রাশিয়ার বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়াতেও তার আগ্রহী থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। নথি অনুযায়ী, গুতেরেস রাশিয়ার রপ্তানি শক্তিশালীকরণে জোর দিয়েছিলেন। আর তা করতে গিয়ে রুশ কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি।

গুতেরেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব যেন গরিব দেশগুলোর ওপর না পড়ে আর গরিব দেশগুলো যেন প্রয়োজনীয় খাবার ও সার পায় সেটি নিশ্চিতেই শস্য চুক্তি নিয়ে এতটা তৎপর ছিলেন গুতেরেস।

এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এক তরুণ বন্দুকবাজ নথিগুলো ফাঁস করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ডিসকর্ড’-এর একটি গ্রুপে সর্বপ্রথম নথিগুলো প্রকাশিত হয় বলে জানানো হয়।

ডিসকর্ডের সেই গ্রুপের দুই সদস্য জানান, গ্রুপটিতে ‘ওজি’ নামের এক ব্যক্তি কয়েক পৃষ্ঠার একটি পোস্টে উল্লেখ করেন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কাজ করেন তিনি এবং সামরিক ঘাঁটির কিছু নথি তিনি নিজের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *