পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড এর মৃত্যুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। আর এতে বিভিন্ন স্থানে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও।
মঙ্গলবার (০২ জুন) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের সামনে হাজার হাজার প্রতিবাদকারীর সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশি তরুণী ফামি মুমতাহিনা। তিনি রাজপথে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেন।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ চলছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সহিংস দাঙ্গায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউজ। মঙ্গলবার সেখানে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন বাংলাদেশি তরুণী ফামি মুমতাহিনা। পেশায় তিনি একজন ডিস্ক জকি (ডিজে)। ফামির হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘অ্যাম আই নেক্সট’ অর্থাৎ এরপর কি আমি? তবে ফামির প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ। তিনি আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি। কারফিউয়ের প্রতিবাদস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
ফামি মুমতাহিনা বলেন, ‘বিপ্লব ছাড়া কখনই স্বাধীনতা আসেনি। ধর্ম, দেশ আর জাতিরও পরিবর্তন হয়নি। জর্জ ফ্লয়েডের ন্যায়বিচারের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিপ্লব হচ্ছে। আমি একজন মানুষ হিসাবে যারা প্রতিবাদ করছে তাদের সবার সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছি’।
ফামি আরও বলেন, ‘দেশে দেশে মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমানসহ অনেকে। তাদের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা ধরে রাখা এবং তার উন্নতি সাধন করা আমাদের দায়িত্ব’।
/এএ