যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাদা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা জানান মন্ত্রী।

এর আগে আজ বুধবার দুপুর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।

দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা একটি বড় বাণিজ্যের অংশীদার।

আমি গত ৫২ বছরের পথচলায় মার্কিন সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য বাণিজ্য বিস্তৃত করা ও সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কো-অপারেশন আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবেলায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত ব্যক্ত করেছি। গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে।

প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেটি ভালো সংখ্যা। কারণ নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ছিল, সকালে ঠাণ্ডা ছিল, সেটি না হলে ভোট আরো ১০ শতাংশ বেশি পড়ত। সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা উভয় দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা তাদের সহায়তা সব সময় চেয়ে এসেছি। আজকে সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারা আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব। ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় অমানবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি অনেকটা সরে গেছে। সে জন্য আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের জন্য সমস্যা।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *