৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও সুদানে নতুন করে গোলাগুলি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সুদানে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দেশটির রাজধানী খার্তুমে নতুন করে গোলাগুলিতে ভেস্তে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

দেশটিতে লড়াই থামাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের চাপের মুখে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের জেনারেলরা এই যুদ্ধবিরতি শুরু করতে রাজি হয়েছিলেন।

বলা হয়েছিল, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে (জিএমটি ১৬:০০) যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।

তবে, খার্তুমে তুমুল গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার অধিবাসীরা। লড়াইয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়া সাধারণ মানুষদের জন্য জরুরি পণ্য সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করার জন্য যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হয়েছিলেন সুদানের দুই বিবাদমান পক্ষের জেনারেলরা।

খালিদ সাদ নামের এক অধিবাসী জানান, “সারাদিনই গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে জঙ্গিবিমান মাথার ওপর চক্কর দেওয়ার শব্দ। তারা ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরও বিমান, গোলাগুলি, বোমা হামলা এখনও চলছে। তারা যা বলে সেকথায় কোনও শ্রদ্ধাও তাদের নেই।”

গত শনিবার থেকে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং দেশটির আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এর মধ্যে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।

এ লড়াইয়ে মাত্র তিনদিনে ২০০ জন নিহত হয়েছে এবং ১৮শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রাজধানী খার্তুমসহ আশেপাশের কয়েকটি নগরীতে বিমান হামলা, গোলা বর্ষণ এবং ছোট ছোট ভারি অস্ত্র নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে।

সেনাবাহিনী এবং র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) উভয়ই রাজধানী খার্তুমের দখল নেওয়ার দাবি করেছে। মঙ্গলবার সকালেও রাজধানী খার্তুম জুড়ে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া, আকাশে যুদ্ধবিমান উড়েছে এবং প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণও হয়েছে।

খার্তুমের পাশের নগরী ওমদুরমান এবং বাহরিতেও স্থানীয়রা আকাশ হামলার কথা জানিয়েছেন।

বিশেষত, সেনা সদরদপ্তরগুলোর কাছে লড়াই থামেনি। এই সদরদপ্তরগুলো নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর আশেপাশ ঘিরে আছে আবাসিক এলাকা।

অধিবাসীরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থার মধ্যে খাবার এবং পানি সংকটে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে এক নারী খার্তুমের অধিবাসী এক নারী বিবিসি-কে বলেছিলেন,তার বাড়িতে পান করার মতো পানি আর নেই। কেবল একটাই বোতল আছে। সেটি তার দুবছরের বাচ্চার জন্য। লোকজন রোজা ভাঙার জন্যও পানি পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com