পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ওশেনিয়া মহাদেশের একটি দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করা পাপুয়া নিউ গিনি একটি মিশ্র জাতিসত্তার দেশ। সেখানে মুসলিমরাও মিশ্র জাতিসত্তার অধিকারী। তাই রমজানে পাপুয়া নিউ গিনিতে বিশেষ কোনো সংস্কৃতির প্রভাব চোখে পড়ে না। ইফতার-সাহরিতে তাদের স্থানীয় খাবারই পছন্দ। তবে প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছুটা প্রভাব দেখা যায়।
পাপুয়া নিউ গিনির মুসলিমরা রমজানকে ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও ইসলাম প্রচারের মাস মনে করে। রমজানে তারা দলবদ্ধ হয়ে মসজিদে অবস্থান করে ইসলামী জ্ঞান চর্চা করে। রমজানে প্রতিটি ইসলামিক সেন্টারে এক বা একাধিক ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা সমবেত মুসলিমদের ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ইসলামিক সোসাইটির অধীনেই এসব বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে মুষলধারে বৃষ্টি
ইসলামিক সেন্টারগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত ইসলামিক স্কলাররা রমজানে পাপুয়া নিউ গিনির মুসলিমদের ধর্মীয় বিধি-বিধান শেখানোর পাশাপাশি ইসলাম প্রচারেরও কাজ করেন। সেন্টারে সমবেত মুসলিমদের ইসলাম প্রচারের কৌশল, শিষ্টাচার ও রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধ শেখান। অতঃপর তাঁরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যান। তাঁরা ইসলাম সম্পর্কিত বই-পুস্তক ও পোস্টার বিলি করেন। ইসলাম সম্পর্কে জানতে ইসলামিক সেন্টারে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন।
রমজানে ইসলামী শিক্ষা ও ইসলাম প্রচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করাকে পাপুয়া নিউ গিনির মুসলিমরা নিজেদের জন্য আবশ্যক মনে করেন। প্রায় প্রত্যেক মুসলিমই কমবেশি কিছু সময় মসজিদে অতিবাহিত করেন। সব মিলিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির মাটিতে ইসলামের আলো বিচ্ছুরিত হয় পবিত্র রমজানে।