১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র রমজান পালন করছেন ইউক্রেনের মুসলিমরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে অনেকখানি। খবর এএফপি।
ইউক্রেনে মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের মতো মুসলিম। যুদ্ধাবস্থায় তাদের জন্য ধর্মের হুকুম আহকাম পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকা জনশূন্য হয়ে যাওয়ায় সেখানকার মসজিদগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। আবার কোথাও মসজিদ থাকলেও তা বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে।
মোল্লা মুরাদ সুলেমানভ নামে একজন ইউক্রেনের পূর্ব ফ্রন্ট লাইনের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। সেখানে একজন নারীসহ ১৬ জন মুসল্লি জড়ো হয়েছিলেন। মোল্লা মুরাদ বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের মসজিদটি রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করছি। আমি আল্লাহর কাছে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্যও প্রার্থনা করছি।
মোল্লা মুরাদ জানান, দুইদিন আগে এই মসজিদটির কাছে একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়। এতে মসজিদের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
মসজিদে উপস্থিত সাঈদ ইসমালিগলভ নামে আরেকজন জানান, তিনি ইউক্রেনের মুসলিম নেতাদের একজন ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পদত্যাগ করেন এবং স্বেচ্ছাসেবক প্যারামেডিকসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসাবে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন ফন্টে আহত সৈন্যদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো বিরামহীন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে এ অবস্থাতেও তিনি রোজা রাখছেন। রাতে নামাজ পড়ছেন।
তবে যেসব সেনা সদস্য পরিখা বা ট্রেঞ্চে থাকেন, তাদের জন্য রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ পরিখায় চরম ঠান্ডা এবং সেখানে পানিও থাকে। ফলে সেখানে অবস্থান করে রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব।
সুলেমানভ বলেন, আমি নিশ্চিত যে অনেক মুসলিম যোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। কারণ এই ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর সাহায্যে আরও ভালো বোধ করে।