২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্টের নির্দেশের পর ইউক্রেনে ভারি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঢুকে পরে হাজার হাজার রুশ সেনা। এরপর কেটে গেছে ১০০ দিন। কিন্তু যুদ্ধ থামার বদলে এখন এর তীব্রতা বেড়েছে। কিভাবে এ যুদ্ধ শেষ হবে?
গণমাধ্যম বিবিসির কূটনৈতিক সাংবাদিক জেমস ল্যান্ডেল বলেছেন পাঁচটি উপায়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ।
ইউক্রেনে কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও যুদ্ধ চলতে পারে। দুই পক্ষের কেউই হাল ছাড়তে চাচ্ছে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে কৌশল ব্যবহার করছেন সেটি হলো ধৈর্য্য ধারণ করা। তিনি অনেকটা জুয়া খেলছেন। তার ধারনা ইউক্রেন নিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাবে ইউরোপের দেশগুলো। এরপর তারা তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা ও চীনের হুমকির দিকে মনযোগ দেবে।
তবে পশ্চিমারা ধীর সঙ্কল্প নিয়েছে। তারা ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যহত রেখেছে। ফলে ধীরে ধীরে এ যুদ্ধ একটি ‘শীতল যুদ্ধে’ পরিণত হচ্ছে যেটি সারাজীবন থাকবে।
হতে পারে দোনবাস দখল করার পর পুতিন বলতে পারেন, তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। দোনবাসের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, ক্রিমিয়ার সঙ্গে স্থলপথ সংযুক্ত হয়েছে। এরপর তিনি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে পারেন।
এরপর শান্তির দোহাই দিয়ে যেসব অঞ্চল তিনি দখল করেছেন সেগুলো রাশিয়াকে দিয়ে দিতে ইউক্রেনকে চাপ প্রয়োগ করতে পারেন।
ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি ইতিমধ্যেই বলেছে, তারা চায় যুদ্ধ যেন দীর্ঘায়িত না হয়। অর্থনৈতিক কষ্ট যেন দূর হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরও পশ্চিমা দেশগুলো এটির বিরুদ্ধে যাবে।
দুই দেশই বলতে পারে যে, সামরিকভাবে তারা কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না। ফলে আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান হোক।
ইউক্রেন যদি রাশিয়াকে হটিয়ে দিতে পারে তাহলেও যুদ্ধ থামবে। তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরাজয় মেনে নেবেন না পুতিন।
লন্ডনের কিংস কলেজের সেমিনারে ইতিহাসবীদ নিয়াল ফার্গুসন বলেছিলেন, পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পরাজয় মেনে নেবেন না যখন তার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
সূত্র: বিবিসি