যে সূরা মুমিনের জীবনের খোলাসা: মুফতি সালমান মানসুরপুরী

যে সূরা মুমিনের জীবনের খোলাসা: মুফতি সালমান মানসুরপুরী

এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস, আওলাদে রাসূল, সায়্যিদ মুফতি মুহাম্মাদ সালমান মানসুরপুরী। দেশের বিভিন্ন মাদরাসা, ইলমী মারকায ও জুমু’আর মসজিদগুলো দৃপ্ত হয়েছে এই নবী দৌহিত্রের পদচারণায়। উদ্দীপ্ত হয়েছে তাঁর ইলমী ও ইসলাহী বয়ানে। সেই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাজধানীর মুহাম্মাদপুরে মসজিদে নূর মুহাম্মাদী হাউসিংএ উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সূরা আসরের তাফসীর করেন। বয়ানের চুম্বকাংশ পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো—

পবিত্র কুর’আনের সূরা আসরে যে হাকীকত বর্ণনা করা হয়েছে তা আমাদের জীবনের পাথেয়। এই সূরা আমাদের দুনিয়াবী জীবনের খোলাসা। মানুষের এই দুনিয়ার জিন্দেগীতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ হায়াত থাকে। কারো ত্রিশ থেকে চল্লিশ , কারো বা ষাট থেকে সত্তর বছর। এবং দুনিয়াতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষও আছে, কেউ রাজা কেউ প্রজা, কেউ ডাক্তার কেউ উকিল। মানুষ যেমনই হোক না কেন, তাকে এই দুনিয়ার সময়কে অতিবাহিত করে আখেরাতের অনন্তকালের সময়ের দিকে তাকে যাত্রা করতে হবে।

এটা মুসলমানের বুনিয়াদী আকীদা। এই আকীদা বা বিশ্বাস ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারে না। তাই এখানে সেই অনন্তকালের জীবনে যদি আমরা ভালো কাজ এবং ইমান ছাড়া পৌঁছাই তাহলে আমরা নির্ঘাত আমরা ক্ষতির মধ্যে থাকবো।

এজন্য এমন চারটি বিষয় আছে যেগুলো উপর নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারলে ওই সময় আমাদের জন্য কখনো ক্ষতির হবে না। যে চারটি কথা কুর’আনে সূরা আসরে বলা হয়েছে।

এক. ইমান। ইমান ছাড়া কেউই সফল হতে পারে না।

দুই. সৎ কাজ করা। নেক আমল করা। নিজের দৈনন্দিন কাজ সততার সাথে করা। সেটা আমার ব্যাবসা হোক, চাকরী হোক অথবা নামায হোক কিংবা রোজা। যাই হোক সমস্ত কাজ সততার সাথে আঞ্জাম দেওয়া। এবং এই ব্যাপারে নিজের সাথে প্রশ্নোত্তর করা যে, আসলে আমি কতখানি সততার সাথে চলছি আর কতটুকু চলা প্রয়োজন?

তিন. পরস্পরে সত্যের দাওয়াত দেয়া। ভালো কথা, কাজের ব্যাপারে আলোচনা। হয়ত অনেকেই সাদরে গ্রহণ করবে না তবুও বলতে থাকা এবং নিজে তা করতে থাকা।

চার. ধৈর্যের সাথে থাকা। মনে হবে, মানুষকে আর কত বলবো! আমার কথায় সাড়া দেয় না। অবহেলা করে। কিন্তু এরপরও ধৈর্যের সাথে ইমান, আমল এবং সততার সাথে লেগে থাকা।

এই পন্থায় কোনো মানুষ যদি দুনিয়ার এই জীবনকে পরিচালনা করতে পারে তাহলে আখেরাত জীবনের ক্ষতি থেকে সে পরিত্রাণ পাবে। এটাই সূরা আসরে আল্লাহ তা’আলার প্রতিজ্ঞা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *