রংপুরে চিনির কেজি ১৫০

রংপুরে চিনির কেজি ১৫০

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনির দাম। তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচ, আলু, পেঁয়াজ ও মুরগিসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ডিমের দাম।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১০-১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা।

নবাবগঞ্জ বাজারের চিনি বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১০-১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৯০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকা, সাদা দেশি আলু ৭৫ টাকা থেকে কমে ৬৫ টাকা, শিল ৭৫-৮০ থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা এবং ঝাউ আলু আগের মতো ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১৬০-১৮০ টাকা থেকে কমে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালির দাম কমে ৪১-৪২ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা। দেশি আদা (নতুন) আগের মতোই ২৩০-২৪০ টাকা ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ও গাজরের দাম ১০-২০ টাকা কমে ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুনের দাম কমে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৭০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ৮০-১০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙে ৫৫-৬০ টাকা, দুধকুষি ৫৫-৬০ টাকা, পটলের দাম কমে কমে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, শিম ১১০-১২০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি আগের মতো ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এছাড়া আমদানির প্রভাব পড়েছে আলু ও পেঁয়াজের ওপর।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা কমে ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম কমে ২৮০-২৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন গত সপ্তাহের দরে ১৬৯ টাকা, দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটেরডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *