রকস্টার জুনায়েদ জামশেদের চাইতে ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী জুনায়েদ জামশেদ বেশি নন্দিত – বিশেষ সাক্ষাৎকারে মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন

রকস্টার জুনায়েদ জামশেদের চাইতে ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী জুনায়েদ জামশেদ বেশি নন্দিত – বিশেষ সাক্ষাৎকারে মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন

জুনায়েদ জামশেদের রকস্টার থেকে ধর্মপ্রচারক হয়ে উঠার বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প আমরা সবাই জানি। পাকিস্তানের আলেম-উলামা, দাঈ ও মুবাল্লিগদের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথাও সর্বজনবিদিত। দেশের সীমানে ছাড়িয়ে দেড় হাজার মাইল দূরে এই বাংলার মাটি ও মানুষের সাথেও তিনি মিশে গিয়েছিলেন। এদেশের আলেম-উলামা ও দাঈদের সাথেও তার ছিলো একান্ত সম্পর্ক। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. কে তিনি নিজের মুরব্বি মনে করতেন এবং তাঁকে অন্তর থেকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন। আল্লামা মাসঊদের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশের ইতিহাসে জমকালো দুটি ইসলামী কনসার্টে (চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ও বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার) তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া তিনি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. এর কিশোরগঞ্জের ইসলাহী ইজতিমায় বয়ান ও হামদ নাত পেশ করেন। এবং একাধিকবার জামি’আ ইকরা বাংলাদেশে আসেন ও ছাত্রদেরকে সুর মূর্ছনায় মাতোয়ারা করেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তাবলিগের কাজে তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চিত্রালে গিয়েছিলেন। ৭ ডিসেম্বর সেখান থেকে ইসলামাবাদ ফেরার পথে তাকে বহনকারী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক তিনি নিহত হন৷  তার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়েছিলো তার অগণিত ভক্ত, যারা কেউ ভালোবেসেছিলো রকস্টার জুনাইদকে, কেউবা বেসেছিলো নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম গায়েন জুনাইদকে। এভাবেই ইতি ঘটেছিলো একটি বর্ণবহুল জীবনের, একটি বর্ণাঢ্য গল্পের। বাংলাদেশে জুনায়েদ জামশেদের একান্ত ঘনিষ্ঠ অনুজ বন্ধুপ্রতিম ছিলেন মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন। ৭ম প্রয়াণ দিবসে জুনায়েদ জামশেদকে নিয়ে পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে স্মৃতি রোমন্থন করেছেন মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন। পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

 

পাথেয়: মানুষ হিসেবে জুনায়েদ জামশেদ কেমন ছিলেন?

মাওলানা মাকনুন: মানুষ হিসাবে ভাই জুনাইদ জামশেদের তুলনা ছিলো না। একজন মুমিনের যে  সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলী থাকা প্রয়োজন এর সবগুলোই আল্লাহ তাআলা তাঁর মাঝে ঢেলে দিয়েছিলেন। বিনয়, নম্রতা, কোমলতা, ছোটদের প্রতি স্নেহ, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, সমবয়সীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এগুলো ছিলো তার স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট। তাঁর ছিলো উম্মতের জন্য দরদভরা এক দিল। তিনি ছিলেন পরহেজগার । একবার আমাদের গ্রামের বাড়ির তাড়াইল ইজতিমায় তিনি গিয়েছিলেন। বাদ ফজর তার বয়ান ছিলো। আমি রাত ৩টার দিকে তার রুমের কাছে গেলে দেখি তিনি নামায পড়ছেন। পরে তিনি বলেন, আমি সারারাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দো’আ করেছি যেন আমার মুখ থেকে এমন কিছু কথা বের হয় যা এই মানুষদের জীবনে উপকারে আসে। ও তাদের নাজাতের উছিলা হয়।

পাথেয়: তাঁর সাথে আপনার প্রথম দেখা ও শেষ সাক্ষাতের কিছু স্মৃতি রোমন্থন করুন।

মাওলানা মাকনুন: ভাই জুনায়েদ জামশেদের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয় দুই হাজার ছয় বা সাত সালের দিকে। তিনি সেবার দাওয়াত ও তাবিলিগের নিসবতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. এর সাথে ইংল্যান্ডে তাঁর আগেই পরিচয় হয়েছিলো। সেই সূত্রে আমি ধানমণ্ডি সাত নাম্বার রোড মসজিদে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করি এবং পরিচিত হই। তাবলিগের মুরুব্বিদের অনুমতি নিয়ে আমি ভাই জুনায়েদকে আমাদের জামিআ ইকরায় আমন্ত্রণ জানাই। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তিনি ইকরায় আগমন করেন। ইকরাতে আসরের নামায পড়েন এবং অনাড়ম্বর আয়োজনে হামদ-নাত পরিবেশন করেন। এরপর তিনি তার হেদায়েতের পথে আসার গল্প শোনান। একজন পপশিল্পী থেকে এই হামদ-নাত শিল্পীতে পরিণত হওয়ার আদ্যপান্ত কাহিনী বলেন। নিজের জীবনের কথাগুলো বলতে বলতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ‘মিঠা মিঠা, পেয়ারা পেয়ারা’, ‘মুহাম্মদ কা রওজা’সহ আরো কিছু  হামদ-না’ত পরিবেশন করেন। তার কথামালায় রূহানিয়্যাত ও সুর মূর্ছনার যে এক মোহময়তা সৃষ্টি হয়েছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না। মাগরিব নামায শেষ করে আমরা তাকে ধানমণ্ডি পৌঁছে দেই। এরপর তাঁর সাথে বহুবার দেখা হয়েছে, মোবাইলে কথা হয়েছে, তিনি কয়েকবার আমাদের বাসায় এসেছেন এমনকি আমাদের গ্রামের ইজতিমায়ও তিনি গিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমরা ঐতিহাসিক দুটি কনসার্ট আয়োজন করি। প্রথমটি ছিলো ততকালীন চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে। পুরো বাংলাদেশে তখন ব্যাপক আলড়ন সৃষ্টি হয়।  ২০১৩ সালেও আমরা তাঁকে নিয়ে বসুন্ধরা কনভেনশন হলে হামদ-নাত মাহফিলের এক বর্ণাঢ্য আয়োজন করি। এরপর ১৪ সালের বিশ্ব ইজতিমায় তাঁর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। এবং সেটাই ছিলো আমাদের শেষ দেখা। ১৬ সালের আজকের এই দিনে তিনে চলে যান।

পাথেয়: তাঁর লাইফস্টাইল ও অভিরুচি সম্পর্কে কিছু বলুন

মাওলানা মাকনুন: তাঁর লাইফস্টাইল সুন্নাহ মোতাবেক ছিলো। তিনি চলনে- বলনে, কথায়- বার্তায় অত্যন্ত স্মার্ট ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। সীরাতে পাকের উপর তিনি চলার চেষ্টা করতেন। আমরা জানি, জে ডট (J.) নামে তাঁর একটি লাইফস্টাইল ফ্যাশন হাউজ ছিলো। ইসলামী রুচিসম্মত পোষাক ও পারফিউমের জগতে এটি অনন্য ছিলো। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির  এক্সপেন্সিভ সব প্রডাক্ট ছিলো এর। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলোতে মুসলামানদের খুবই চাহিদাসম্পন্ন একটি ফ্যাশন হাউজের নাম জে ডট। এই ফ্যাশন হাউজিটিও জুনায়েদ জামশেদের উউন্নত রুচির পরিচায়ক।

পাথেয়: একজন পাকিস্তানী হয়েও বাংলাদেশের প্রতি তার এমন ভালোবাসা থাকার কারণ কী?

মাওলানা মাকনুন: আমি একটু আগেই বলেছি, তিনি সুন্নাহ ও সীরাতের প্রতি পাবন্দ একজন  ব্যক্তি ছিলেন, একজন খাটি ওয়ারিসে নবী ছিলেন। সে হিসেবে সমস্ত মানুষের জন্যই তার মনে ছিলো মুহাব্বত ও ভালোবাসা। বাংলাদেশীদের বেলায়ও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। তিনি আমাদের শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. কে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও মুহাব্বত করতেন। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. এর ইংল্যান্ড সফরের কথা শুনে ভাই জুনায়েদ তাঁর সাথীসঙ্গীদের নিয়ে মেনচেস্টার এয়ারপোর্টে ইস্তিকবালের জন্য চলে এসেছিলেন। শাইখুল ইসলামের লেখা কিছু উর্দু না’ত পরিবেশন করে তাঁর একটি এলবাম বের করার কথা ছিলো। আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় তিনি চলে গেলেন ফলে তা আর বাস্তবায়িত হলো না। বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান ও দ্বীনী ভাইদের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা ছিলো।

পাথেয়: শুনেছি ৭১ এ বাঙালীদের উপর পাকিস্তানীদের নৃশংসতার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করতেন এটা কতটুকু সত্য?

মাওলানা মাকনুন: ৭১ এর নৃশংসতার জন্য তিনি শরমিন্দা ছিলেন। পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ও রাজনীতিবীদ ইমরান খানের সাথে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিলো। এবং পিটিআই এর সাথে তিনি  সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পিটিআইয়ের নির্বাচনি থিম সং ‘নয়া পাকিস্তান’ তাঁর চিন্তা ও পরিকল্পনাতেই  হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন, ইমরান খান ক্ষমতায় আসলে আমরা বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করবো। এবং বাংলাদেশীরা যেভাবে চায় সেভাবেই তাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়বো। ইমরান খান ক্ষমতায় আসলেন কিন্তু তিনি ততদিনে চলে গেলেন। আমার বিশ্বাস, যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরী হতে পারতো।

পাথেয়: কোন জুনায়েদ বেশী জনপ্রিয়? রকস্টার জুনায়েদ নাকি ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী জুনায়েদ?

মাওলানা মাকনুন: আমি মনে করি তিনি যতদিন রকস্টার জুনায়েদ জামশেদ হিসেবে যেভাবে পরিচিত ছিলেন, মানুষের ভালোবাসার পাত্র ছিলেন তা শুধু পাকিস্তান কেন্দ্রিক ছিলো এবং পাকিস্তানিদের মাঝেই ছিলো। যখন তিনি হামদ নাত শিল্পী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং জনপ্রিয় ইসলামী শিল্পী হিসেবে তাঁর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে তখন সারা পৃথিবীব্যাপী তিনি মুসলমানদের মধ্যমণি হয়ে উঠেন এবং ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেন। সেই সউদিআরব থেকে শুরু করে সাউথ আফরিকা, ইউরোপ আমেরিকা, ভারত বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের মধ্যে তিনি একজন ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী ও দ্বীনের দাঈ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। সুতরাং নিঃসংকোচে বলা যায়, রকস্টার জুনায়েদ জামশেদের চাইতে ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী জুনায়েদ জামশেদ বেশী নন্দিত ও জনপ্রিয়।

পাথেয়: জুনায়েদ জামশেদের নাশিদের শ্রেষ্ঠত্বের জায়গাটা আসলে কোথায়?

মাওলানা মাকনুন: তাঁর নাশীদের শ্রেষ্ঠত্বের জায়গাটা হচ্ছে ‘দরদ’। নবীজী সা. এর তরে যেই  আবেগ ও ভালোবাসা নিয়ে না’তগুলো তিনি গাইতেন তা অতুলনীয়। নাশীদ তো অনেকেই গায়,   কিন্তু তাঁর দরদমাখা সুর আর লহরী অতুলনীয়। তিনি যেহেতু পূর্বে সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন এবং সারেগামাপা এর সুর, তাল, লয় ধরতে ও প্রয়োগ করতে পারার বিশেষ যোগ্যতা ছিলো সেই বিদ্যা তিনি ইসলামী সঙ্গিতেও প্রয়োগ করেছেন এবং যথারীতি সবাইকে মুগ্ধ করেছেন যা অন্যদের ক্ষেত্রে বিরল।

পাথেয়: জুনায়েদ জামশেদ রকস্টারের জীবন থেকে সরে এসে ইসলামী সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। পরবর্তী জীবনে কি তিনি কখনোই নাশীদ বা হামদ নাত ছাড়া কোনো কিছু পছন্দ করতেন না বা শুনতেন না? এ ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কী?

মাওলানা মাকনুন:  ইসলামী সঙ্গীত জগতে আসার পর একবার আমেরিকাতে এক অনুষ্ঠানে তার পুরোনো সংগীত ‘দিল দিল পাকিস্তান, জযবায়ে জুনুনসহ তাঁর বেশ কিছু পুরোনো সংগীত পাকিস্তানের সালমান আহমেদ ও আলী আজমতের সাথে যৌথ পারফরম্যান্স করেছিলেন। এছাড়াও তিনি তাঁর পুরোনো দিনের দেশাত্মবোধক গানগুলো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই মাঝেমধ্যে গাইতেন।

পাথেয়: শুনেছি পাকিস্তানের সুন্নিজামাত জুনায়েদ জামশেদের প্রতি ঘোর শত্রুতা পোষণ করতো এবং তাঁর নামে একবার ব্লাসফেমী আইনে মামলাও ঠুকেছিলো। তাঁর মৃত্যুর পেছনে কি তাদের কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে? আপনার কী মনে হয়?

মাওলানা মাকনুন: পাকিস্তানের সুন্নীপন্থীরা উনাকে ভালোবাসত, একবার আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাযি.) এর ব্যাপারে উনার ‘স্লিপ অফ টাং’ হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি তার অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর সুন্নিদের সাথে তাঁর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে কিছু উগ্রপন্থি সুন্নীর দ্বারা তিনি যে হেনেস্তা হননি তা কিন্তু নয়।

পাথেয়: তাঁর সাথে আপনার নিবিড় কিছু স্মৃতির কথা বলুন

মাওলানা মাকনুন: তাঁর সাথে আমার সম্পর্কটা ছিলো ভালোবাসার ও বন্ধুত্বের। মৃত্যুর দুই তিন আগেও ফোনে কথা হয়। জিজ্ঞেস করেছিলাম বাংলাদেশে কবে আসবেন? বলেছিলেন শিগগিরই আসব। কিন্তু তাঁর আর আসা হয়নি। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে তিনি অত্যাধিক শ্রদ্ধা করতেন। বলতেন পাকিস্তানের মাওলানা তকী উসমানী ও তারেক জামিল আর বাংলাদেশের মাওলনা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে আমি ভালোবাসি। একবার উনি আমাদের শোনান যে, উনার বিবিকে উনি মজা করে বলছেন, বাংলাদেশ থেকে মাকনুন আমার যত খোঁজ নেয় তুমি আমার তত খোঁজ নাও না। আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাত নসীব করুন।

পাথেয়: বাংলাদেশের আর কোন কোন আলেমের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক ছিলো?

মাওলানা মাকনুন: বাংলাদেশে অন্যকোনো আলেমদের সাথে উনার তেমন সম্পর্ক ছিলো কিনা জানা নেই। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ (রহ) এই দুইজনকে খুব মুহাব্বত করতেন এবং প্রত্যেকবার বিশ্ব ইজতিমা বা দাওয়াত ও তাবলীগের নেসবতে আসলে তাদের সাথে দেখা করে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। বাংলাদেশের যারা দাওয়াত ও তাবলীগের মুরুব্বি মাওলানা যোবায়ের সাহেব, মাওলানা উমর ফারুক সাহেব, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম  সাহেব সবার সঙ্গেই উনার সম্পর্ক ছিলো।

সাক্ষাতকার গ্রহণ, মুফতি আব্দুস সালাম ইবন হাশিম

শ্রুতি লিখন, তামিম আব্দুল্লাহ

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *