রজব মাস ইসলামের চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম, যা বরকত ও নেকির অফুরন্ত সুযোগ বয়ে আনে। এই মাসে রাসূল (সাঃ) বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করতেন এবং উম্মতকেও এর ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেন।
রোজা
এই মাসে রাসূল (সাঃ) নিয়মিত রোজা রাখতেন। হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসে রজব মাসের চেয়ে বেশি রোজা রাখতেন না। (সহীহ বুখারী)
রজব মাসের দোয়া
এই মাসে রাসূল (সাঃ) বারবার এই দোয়া পড়তেন: “اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ“।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।” (তিরমিযী)
নফল ইবাদত
এই মাসে রাসূল (সাঃ) নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, দান-সদকা, তেলাওয়াতে কুরআন ও জিকির-আযকারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতেন।
কুরআন তেলাওয়াত
এই মাসে রাসূল (সাঃ) খুব বেশি পরিমানে কুরআন তেলাওয়াত করতেন এবং অন্যদেরও তেলাওয়াত করার জন্য উৎসাহিত করতেন।
শবে মেরাজ
এই মাসের ২৭ তারিখে শবে মেরাজের ঘটনা ঘটেছিল। এই রাতে রাসূল (সাঃ) আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। এ রাতের ফজিলত অনেক।
আরও পড়ুন: রজব মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য
উম্মতকে সচেতন করা
রাসূল (সাঃ) রজব মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে উম্মতকে সচেতন করতেন এবং তাদের এই মাসের বরকতময় আমলগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতেন।
শেষ কথা
রজব মাস আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি সুবর্ণ সুযোগ। রাসূল (সাঃ)-এর আমলগুলো অনুসরণ করে আমরা এই মাসের বরকত পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারি।
তথ্যসূত্র:
সহীহ বুখারী
তিরমিযী
সুনানে আন-নাসাঈ
মুসলিম