২৮শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পবিত্র মাহে রমজানে রোজা পালনের লক্ষ্যে সুবহে সাদিকের আগের সময়টাতে, মানে ভোররাতে যা কিছু খাওয়া হয়, একে উর্দুতে সাহরি আর আরবিতে সুহুর বলা হয়। সাহরির শাব্দিক অর্থ নিদ্রাভঙ্গ, ঘুম থেকে জেগে ওঠা, রাত্রি জাগরণ ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সাহরি খাওয়ার উপকারিতা হলো, রোজা রাখার শক্তি পাওয়া যায়। সাহরি খেলে সারাদিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও রোজাদার সহজে দুর্বল হয়ে পরেন না। দিনভর কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি পান। সাহরিতে কিন্তু বেশি খাওয়া যাবে না। অনেকেই মনে করেন, সারদিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই বেশি করে খেয়ে নিতে হবে।
সাহরিতে এই বেশি খাওয়ার চিন্তাটাই ভুল। কারণ যতই খাওয়া হোক না কেন, চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে সব খাবারই পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়ে যায়। বরং বেশি খেলে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। পেটের সমস্যা, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
সাহরিতে পরিমিত পরিমাণে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বেছে নিতে পারেন লাল আটার রুটি বা লাল চালের ভাত। সঙ্গে রাখতে পারেন ডাল, সবজি, মাছ কিংবা মুরগির মাংস অথবা ডিমরে কোনো পদ। সাহরি খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে উপকার পাবেন। খেজুর সারাদিন পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে। চাইলে দুধ দিয়ে লাল চিড়া বা ওটসও খেতে পারেন।
সাহরি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যাবেন না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। মিনিট পনেরো হাঁটুন। নামায পড়ে তারপর ঘুমাতে যান। দেখবেন এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করছেন।