১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রমজান এলেই সারাবছরের রুটিনে কিছুটা রদবদল করতেই হয়। আর এসময় কিছুটা মুশকিলে পড়তে হয় স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিদের। ব্যায়াম আর নিজের স্বাস্থ্য কিভাবে ধরে রাখা যায়? এখানেই সংযম ও আত্মত্যাগের কথা চলে আসে। আপনাকে এই সময়ে কিছুটা মানিয়ে নিতে হবে।
তাই বলে রমজানের জন্যে একেবারে নতুন ব্যায়াম সংযোজন করার কোনো প্রয়োজনই নেই। নিজেকে কিছুটা মানিয়ে নেয়া শিখতে হবে। সেটা কিভাবে? আসুন একবার দেখে নেয়া যাক।
ইফতারের পর থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত আপনার দেহের জন্যে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন। বিশেষত এই সময়ের মাঝে ওয়ার্ক আউট করতে চাইলে পানি ঠিকমতো পান করতেই হবে। তবে হ্যাঁ, এই অল্প সময়ে একটানা পানি খেতে গেলে পেট ফুলে ফেঁপে গেছে বলে মনে হবে। সেক্ষেত্রে পানি বেশি আছে এমন ফল বা ড্রিংক্স খেতে পারেন। তাতে ডিহাইড্রশনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
একটা ভালো সময় নির্বাচন করতে হবে ওয়ার্ক আউটের জন্যে। সেটা ইফতারের পর যেকোনো সময়ে করাই ভালো। অনেকে অবশ্য ভাবেন সেহরির আগে জিমে ওয়ার্ক আউট করাটাই ভালো। মোটেও না। তাতে বরং সারাদিন দুর্বল লাগার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইফতারের পর একটি সময় নির্বাচন করুন।
নিয়মিত কার্ডিও ব্যায়ামে আটকে থাকার ইচ্ছে থাকতেই পারে। তবে রমজানে রয়ে সয়ে করাটাই সবচেয়ে ভালো। স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করলে পা এবং শরীরের উপরের অংশ কিছুটা সাপোর্ট পাবে। এমনভাবে ব্যায়াম করবেন না যাতে প্রচণ্ড ঘাম ঝরে আর তেষ্টা পায়। বরং শরীরকে সচল রাখার জন্যে আস্তে-ধীরে ওয়ার্ক আউট করুন।
ইফতার কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার পর সেহরি তো বাদ দিবেন না। সেহরিতে সবসময় শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে ওটস, বাদাম, খেজুর আর কলা মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো হয়। এতে সারাদিন চলার মতো শক্তি পাবেন। তাছাড়া ওয়ার্ক আউট করার সময় আপনার ডায়েট ঠিক রাখতেও সমস্যা হবেনা।
একে তো রোজা, তারপর ওয়ার্ক-আউট, শরীর কুলোতে হবে তো। অনেক ভোরে উঠে সেহরি খেয়ে নামাজ শেষে ঘুম বেশিক্ষণ দেয়া যায়না। তাই বিশ্রামের সুযোগ কিছুটা কমই। তাই সুযোগ পেলেই পাওয়ার ন্যাপ নেয়ার অভ্যাস করুন। তাছাড়া যখনই সুযোগ পাবেন বিশ্রাম নিবেন। বিশ্রামের সময়কে ভাগ করে নেয়ার পরিকল্পনা করুন। তাতে ওয়ার্ক আউটের ক্লান্তি আপনাকে চেপে রাখবে না।
আর যদি একেবারেই সুযোগ না করা যায়, তাহলে অন্তত দিনে দশ মিনিট ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ুন। এতে অন্তত রমজানে নিজের স্বাস্থ্য ধরে রাখার সুযোগ হবে।