পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা বিপুল পরিমাণ টাকা ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, একটি চক্র রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মালবাহী গাড়ি থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়সহ ছিনতাই করে আসছে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে চক্রটি জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। তাদের অত্যাচারে স্বাভাবিক ব্যবসা পরিচালনা করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এমন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি দল বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য মোশারেফ হোসেন (২৯), মাসুদ রায়হান (২৮), রোকন (২৯), বিল্লাল হোসেন (৩৩), আকতার হোসেন (৩৫), হারুন (৪৮), সাহেব আলী (৪৯), জুয়েল (৪৩), আরিফ চৌধুরী (৫৩), আল আমিন (৩৩), সুমন (৩৩), রানা (২৬), ইমান আলী (৪০) এবং ইকবালকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪৪ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১৫টি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
আরেক অভিযানে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য সুমন (২৯), আব্দুর রহমান (১৯), সাইফুল মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২১), আমিরুল ইসলাম (৫৫), নিত্যানন্দ অধিকারী (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪৮), সোহেল (৩০), শরিফ (২২), মোবারক (২১), আল আমিন (২৬) এবং সুরুজ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪টি ক্ষুর এবং ৮টি সুইচ গিয়ার চাকু।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা বিষয়টি স্বীকার করেছেন দাবি করে বীণা রানী দাস বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনাস্ট্যান্ড এবং মালবাহী গাড়ি থেকে জোরপূর্বক দোকান প্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ভ্রাম্যমাণ দোকানের মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রত্যেক দোকান থেকে তারা চাঁদা আদায় করতেন।
ছিনতাইকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা রাস্তায় উৎ পেতে থাকে। সুযোগ বুঝে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে পথচারী, রিকশা আরোহী ও সিএনজি যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে আসছিল। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।